বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন কয়েক আগে বাংলাদেশে (Bangladesh) ঘটে গিয়েছিল এক দুর্বিষহ ঘটনা। বাংলাদেশের কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপে কোরান রাখাকে কেন্দ্র করে হাসিনার দেশের একাধিক দুর্গা মণ্ডপে ধার্মিক উন্মাদরা চালিয়েছিল। একের পর হিন্দু এলাকায় চলেছিল তাণ্ডব। এই অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েকজন। বহু হিন্দুর বাড়ি আগুনে পুড়ে হয়ে গিয়েছে ছাই। আমেরিকা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপুঞ্জেও এই বর্বরচিত হামলার করা হয়েছে নিন্দা।
বাংলাদেশের এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে এক সন্দেহভাজনকে মণ্ডপের আশেপাশে ঘুরতে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজকে ভিত্তি করে অভিযুক্ত গ্রেফতার করার পর জানা যায় যে, সে নিজে দুর্গা মণ্ডপে ঢুকে কোরান রেখে এসেছিল। আর সে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের না। ইকবাল হোসেন নামের ওই ব্যক্তি নিজের দোষও স্বীকার করেছে।
আর এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরাতে এই হামলার আঁচ গিয়ে আছড়ে পড়েছে। শুক্রবার ত্রিপুরার জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ সংগঠন অভিযোগ করে বলেছে যে, বাংলাদেশের ঘটনার পর রাজ্যে কিছু মসজিদও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্দোবস্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার গেদু মসজিদের সভাপতি তায়েবউর রহমান বলেন, ‘ত্রিপুরার মুসলিমরা বাংলাদেশের এই অমানবিক কাজের সমর্থন করে না। আমরাও এর প্রতিবাদ করেছি।” তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর ত্রিপুরার গোমতী জেলায় কিছু মসজিদ আর সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা হয়েছে।
এই ঘটনার পর ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘কিছু ঘটনার কথা কানে এসেছে। প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা কোনোভাবেই এমন ঘটনাকে প্রশ্রয় দিই না। কিছু মানুষ ইচ্ছে করে সরকারের দুর্নাম করতে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বাম নেতা তথা সিপিএম সচিব জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, আশা করব যে, রাজ্যের সরকার এমন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।