সংসার সামলানো দায়, চাকরি যাওয়ার অবসাদে আত্মঘাতী শিক্ষকের স্ত্রীও যেতে চাইলেন সহমরণে

নির্বাচনে জয়ের পর ত্রিপুরার (tripura) বিজেপি সরকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে (teacher) চাকরি থেকে বহিস্কৃত করে। তারা প্রত্যেকেই বাম আমলে চাকরি পেয়েছিলেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির কারনেই তাদের চাকরি বৈধ নয় বলে জানিয়েছিল বিপ্লব দেব সরকার।

WhatsApp Image 2021 01 02 at 8 06 28 PM

স্বাভাবিক ভাবেই এই শিক্ষক শিক্ষিকারা এই মুহুর্তে কর্মহীন। দুবেলার অন্নের সংস্থান করা দায় হয়ে পড়েছে অনেকেরই। বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবিতে পথে নেমেছেন তারা। চলছে লাগাতার আন্দোলন। ইতিমধ্যেই ৭৮ জন শিক্ষক আত্মঘাতী (suicide)  হয়েছেন৷ তাদের মধ্যেই একজন উত্তম ত্রিপুরা।

উত্তমের মৃত্যুর পর সহমরণে যেতে চান তার স্ত্রী। তিনি দাবি করেন পেট চালানো দায়। চিতা সাজানোর কাঠের উপর বসে আর্তনাদ করতে থাকেন। তিনি সন্তান সহ স্বামীর সাথেই পুড়ে মরতে চান। সেই ছবি ভাইরাল হতেই সরকারের নিন্দায় ঝড় তুলেছেন নেটাগরিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে নিরস্ত করতে পেরেছেন আত্মীয় স্বজনরা।

১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বহিস্কৃত করা হলেও তাদের জন্য কোনো বিকল্প পেশার খোঁজ দেয়নি সরকার। যার ফলে এই মুহুর্তে অভাবের সাথে লড়াই করছেন শিক্ষকরা। সেই অভাব যে কতটা প্রকট রূপ ধারন করেছে তা ফের একবার প্রমাণ করে গেল উত্তম ত্রিপুরার মৃত্যু ও তার স্ত্রীর অভাবের তাড়নায় সহমরণে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ।

যদিও শিক্ষক আন্দোলনে মুখ পুড়লেও তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিপ্লব দেব সরকার। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে ত্রিপুরায় কর্মচ্যুত শিক্ষকদের অবস্থা খুবই বেদনা দায়ক।

 

 


সম্পর্কিত খবর