বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে মুসলিম দেশগুলোর খলিফা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তুর্কি (Turkey)। কিন্তু তুর্কি রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান (Recep Tayyip Erdogan) পেতে চলেছে এক বড় ঝটকা। ভূমধ্যসাগরের মজুত থাকা গ্যাস উৎপাদনের বিষয়ে তুর্কির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার চেষ্টা চলাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ সমূহ। ইউরোপীয় দেশগুলোর বিদেশমন্ত্রীরা মিলিতভাবে একটি বৈঠকও করেন। আশা করা যাচ্ছে, ১০ কিংবা ১১ ই ডিসেম্বরই তুর্কির বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
এই বিষয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এইসকল ব্ল্যাকমেল এবং ভয় দেখানোতে কোনভাবেই পিছু হটবে না। ভূমধ্যসাগরের গ্যাস ক্ষেত্রকে নিয়ে জারি বিবাদের মিমাংসা করার জন্য আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। যদিও, ভূমধ্যসাগরের এই অংশের গ্যাস উৎপাদন নিয়ে তুর্কি এবং গ্রীসের মধ্যেকার বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুই দেশের সেনারাও মুখোমুখি রয়েছে।
গ্রীসের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমস্ত দেশ সোমবার এই বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। কিন্তু তুর্কি পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্যাসের উৎপাদনের বিষয়ে নিজেদের মত বদলাবে না, তাই তুর্কির বিরুদ্ধে এক দৃষ্টান্তমূলক প্রতিক্রিয়া দিতে তারা প্রস্তুত।
এদিকে আবার কিছুদিন আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সেনা হুঁশিয়ারি দিয়ে তুর্কির রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, ‘আমরা সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকব সপ্তাহের শেষে’। এক হাসপাতালের উদ্বোধনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তুর্কির কাছে অন্যদের অনৈতিক মানচিত্র এবং দলিল ছিঁড়ে ফেলার মত রাজনৈতিক, আর্থিক এবং সৈন্যশক্তি রয়েছে’। এখানেই শেষ নয়, গত ১৪ ই আগস্ট গ্রীসকে একবার ধমকের সুরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের জাহাজে যদি হামলা করা হয়, তাহলে এর জন্য বড় খেসারত দিতে হবে’।