বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোনার ভাণ্ডার খুঁজে পেল তুর্কি (turkey)। কল্পনাতীত এবং আশ্চর্য্যকর ভাবেই তুরস্কের হাতে এল এই বিপুল ধনরাশি। এক কোম্পানির প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে মাটি খুঁড়ে মিলল বিশাল সোনার ভাণ্ডার, যার মূল্য বিভিন্ন দেশের জিডিপির থেকেও অনেক বেশি।
ভাগ্য বদলাতে চলেছে তুরস্কের। বিশাল স্বর্ণ ভান্ডারের হদিশ পেলেন তুরস্ক প্রধান রিচাপ তৈয়প আরদোয়ান। যার ফলে তুর্কির অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাবে। তুরস্কের মধ্য পশ্চিম সোগুটে এই সোনার খনির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বা ৪৪ হাজার কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, খনি থেকে এই সোনা তুলতে এখনও ২ বছর সময় লাগবে।
তুরস্কের মন্ত্রী ফাতেহ ডনমেজ গত সেপ্টেম্বর মাসে জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই সেখানে ৩৮ টন সোনা উৎপাদন হয়ে গিয়েছে এবং পরবর্তী ৫ বছরে ১০০ টন সোনা উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। যার ফলে ধারণা করা হচ্ছে, এই সোনা উৎপাদনের ফলে আসন্ন সময়ে তুরস্কের অর্থনীতি অনেকটাই চাঙ্গা হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, তুরস্কের এই স্বর্ণ ভান্ডারের সন্ধান সর্বপ্রথম পেয়েছে গাবরেটাস ফার্টিলাইজার প্রোডাকশন অ্যাগ্রিকালচারল ক্রেডিট কো-অপারেটিভ প্রধান ফাহরেটিন পোরাজ। সোনার হদিশ মিলতেই এই কোম্পানির শেয়ার বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে তুর্কির স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানিতে। তবে এটাই দেখার তুর্কির সরকার কিভাবে এই সোনার ব্যবহার করছে- দেশের উন্নতিতে নাকি কোন সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে ব্যবহার করে।
প্রসঙ্গত, লাইবেরিয়ার জিডিপি ৩.২৯ ডলার, বুরুন্ডি ৩.১৭ বিলিয়ন ডলার, ভূটানের ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার, লেসোথোর ২.৫৮ বিলিয়ন এবং মালদ্বীপের ৪.৮৭ বিলিয়ন ডলার রয়েছে জিডিপি। তবে তুরস্কের সোনা উদ্ধারের পর এই সকল দেশের জিডিপিকে ছাপিয়ে যাবে তুর্কির জিডিপি।