বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তুরস্কের রাষ্ট্রপতি (Turkey President) রেজেপ তাইয়িপ এরদোগান (Recep Tayyip Erdoğan) আরও একবার কাশ্মীর ইস্যু তুলে হাওয়ার গরম করার প্রচেষ্টা করলেন। রাষ্ট্রসংঘের মহাসভায় নিজের ভাষণে এরদোগান বলেন, আমি দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানদণ্ডের ভিতরে থেকে ৭৪ বছর ধরে কাশ্মীরে চলা সমস্যার সমাধান করার পক্ষে। যদিও, এবার তিনি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে একটু সুর নরম করে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু দুই বছর আগে তিনিই কাশ্মীরকে জ্বলন্ত ইস্যু বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বয়ানের পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মোক্ষম জবাব দিয়ে সাইপ্রাস নিয়ে ট্যুইট করে। সাইপ্রাসের বিদেশ মন্ত্রী নিকোস ক্রিস্টোডৌলাইডসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জয়শঙ্কর ট্যুইট করে লেখেন, সবাইকে সাইপ্রাস নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সুরক্ষা পরিষদে প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবের পালন করা উচিৎ। বলে দিই, তুরস্ক বহু বছর ধরেই সাইপ্রাসের একটি বড় অংশ অবৈধ ভাবে কবজা করে বসে আছে। এই ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একটি প্রস্তাবও পাশ হয়েছে। কিন্তু তুরস্ক তা মানতে নারাজ।
Delighted to meet FM @Christodulides of Cyprus.
Working to take our economic ties forward.
Appreciated his regional insights.
Important that relevant UN Security Council resolutions in respect of Cyprus are adhered to by all. pic.twitter.com/pZXPefT9Sj
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) September 21, 2021
উল্লেখ্য, ২০১৯-র ৫ আগস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম দেশগুলিকে এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছিল। সেই সময় মালয়েশিয়া আর তুর্কি পাকিস্তানের আহ্বানে এগিয়ে এসে ভারতের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিল।
তুর্কির রাষ্ট্রপতি সেই সময় রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর সমস্যাকের জ্বলন্ত ইস্যু বলে আখ্যা দিয়েছিলেন আর কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। উনি ২০১৯ সালে বলেছিলেন, স্বীকৃতি থাকার পরেও কাশ্মীর এখনও আবদ্ধ আর ৮০ লক্ষ কাশ্মীরি সেখানে ফেঁসে আছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তুরস্কের নির্ধারিত যাত্রা রদ করছিলেন।