বাংলা হান্ট ডেস্ক : তুরস্ক (Turkey) ও সুইডেনের (Sweden) মধ্যে বিবাদ চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছে গেছে। অশান্তি এমনই জায়গায় যে সুইডেনে প্রকাশ্য দিবালোকে জ্বালানো হল কুরান। এরপরই তুরস্কে সুইডেনের দূতাবাসের সামনে দেখানো হয় প্রবল বিক্ষোভ। তীব্র নিন্দা জানানো হয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য। তুরস্কের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পাকিস্তানও (Pakistan)।
সুইডেনে পবিত্র কুরান জ্বালিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পাকিস্তান। ভারতের পড়শি দেশ দেশ এই বিষয়ে বলে, ‘এটা খুবই নিন্দাজনক ঘটনা। গোটা বিশ্ব জুড়ে ইসলামোফোবিয়ার এক জঘন্য নির্দশন। সারা দুনিয়ার মুসলিম সমাজকে আহত করেছে এই ঘটনা।’ পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ‘এই ধরনের কাজ কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এটা কখনওই কারুর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হতে পারে না। কারুর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত হয় দায়িত্বও। সেই দায়িত্ব কেউ অবহেলা করতে পারে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। পাকিস্তান সমস্ত ধর্মকেঔ সম্মান করে। প্রত্যেকের উচিত একে অপরের ধর্মকে সহায়তা করা।’
সুইডেনের কিছু কট্টর দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠী গত বৃহস্পতিবার কোরানের একটি কপি পোড়ায় এবং সামনের দিনে তাদের সমাবেশ থেকে আবারও এই কাজ করার পরিকল্পনা করছে। এর বিরুদ্ধে সুইডেনে তীব্র ধিক্কার উঠেছে এবং সুইডেনের বাইরেও এই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বিশ্বের সমস্ত মুসলমান রাষ্ট্র এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে।
সুইডেনে এই ঘটনা প্রথম নয়। গতবছরই অনুরূপ একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সেবার রাসমাস পালুদান নামের ৪০ বছরের ডেনিশ-সুইডিশ চরমপন্থীর প্রকাশ্যেই কোরান জ্বালিয়ে দেন। স্ট্রাম কুরস নামের এক অতি-ডানপন্থী পার্টির নেতৃত্ব দেন তিনি। সেই রাসমাস ঘোষণা করেন যে তিনি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ পুড়িয়েছেন এবং তা আবারও করবেন৷ তারপরই রীতিমতো ভাঙচুর, আমজনতার উপর হামলা, রাস্তায় রাখা গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা শুরু হয় সুইডেনের একাধিক শহরে। পুলিস প্রতিবাদকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে এলে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। অবশেষে অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেন পুলিসকর্মীরা।