বাংলা হান্ট ডেস্ক: “ইন্ডিয়া আউট” স্লোগান দেওয়া মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) চিনপন্থী অবস্থান ক্রমাগত প্রভাব দেখাচ্ছে। বর্তমানে নয়াদিল্লি এবং মলদ্বীপের রাজধানী ম্যালের মধ্যে উত্তেজক পরিস্থিতি ক্রমাগত বাড়ছে। ঠিক এই আবহেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পর এখন মুইজ্জু তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করছেন।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কট্টর ইসলামপন্থীর জন্য পরিচিত তুরস্কের একটি জাহাজ মলদ্বীপে পৌঁছেছে। এর আগে মলদ্বীপও তুরস্কের সঙ্গে সামরিক ড্রোন কেনার চুক্তি করেছে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই একটি চিনা জাহাজও মলদ্বীপে পৌঁছেছিল। ওই জাহাজটিকে সারা বিশ্ব গোয়েন্দা যুদ্ধজাহাজ বলে অভিযোগ করছে।
জাপান যেতে গিয়ে মলদ্বীপে পৌঁছেছে তুরস্কের জাহাজ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, তুরস্কের জাহাজ টিসিজি কিনালিয়াডা মলদ্বীপের ম্যালে পৌঁছেছে। জাহাজটি জাপান যাচ্ছিল। কিন্তু, গন্তব্যে যাওয়ার পথে মলদ্বীপে থেমে যায়। উল্লেখ্য যে, জাপানের সাথে সম্পর্কের ১০০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে চলেছে তুরস্ক। এমতাবস্থায়, ১৩৪ দিনের এই যাত্রায় ওই জাহাজটি প্রায় ২৭ হাজার নটিক্যাল মাইল পাড়ি দেবে। মলদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (MNDF) তুরস্কের এই জাহাজটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে দাপট দেখিয়ে এবার ফিলিপিন্সে সাম্রাজ্য বিস্তার করবেন আদানি! জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য জানিয়েছে MNDF: ইতিমধ্যেই MNDF-এর তরফে “এক্স” মাধ্যমে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে যে, “আমাদের দেশগুলির মধ্যে অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং সহযোগিতার প্রচারের জন্য একটি শুভেচ্ছা সফরে মলদ্বীপে তুরস্কের নৌ জাহাজ টিসিজি কিনালিয়াডার আগমনে MNDF আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়।” জানা গিয়েছে যে, জাপান, পাকিস্তান, মলদ্বীপ ও চিনসহ ২০ টি দেশ সফর করবে এই জাহাজ।
আরও পড়ুন: “ও খাঁটি সোনা”, দেবের মুখে এবার হিরণের স্তুতি! জানালেন….
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পাকপ্রেমী: উল্লেখ্য যে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করছেন। ২০২০ সালে, এরদোগান পাকিস্তান সফর করেন এবং কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদের প্রতি তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে SADAT নামে তুরস্কের একটি বেসরকারি সামরিক কোম্পানি, যেটি এরদোগানের প্রাইভেট আর্মি নামেও পরিচিত, সেটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কাশ্মীরে ভাড়াটে সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা করেছিল। বিনিময়ে, পাকিস্তান সাইপ্রাসে তুরস্ককে তার অটল সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেয়।