‘বিবেক বিক্রি না করলে…’ স্ত্রীকে আক্রমণ ইষ্টি কুটুম অভিনেতার, আইনি পথে দেবযানী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিচ্ছেদের গুঞ্জনে সরগরম গোটা বিনোদন জগত। একের পর এক একের পর এক দাম্পত্য জীবনে চীড় ধরছে বহু তারকা দম্পতিদের। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে সংসার। সম্প্রতি তেমনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা ঋষি কৌশিক (Rishi Kaushik) এবং তার স্ত্রী দেবযানী চক্রবর্তীর (Debjani Chakraborty) ১২ বছরের দাম্পত্য জীবন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার দেবযানীকে আক্রমণ ঋষি কৌশিকের (Rishi Kaushik)

কিছুদিন আগে নাম না করেই গল্পের ছলে স্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নিপীড়িত স্বামীর গল্প শুনিয়েছিলেন অভিনেতা ঋষি (Rishi Kaushik)। কিন্তু সেখানে তিনি এমন কিছু মন্তব্য করে ছিলেন যা শুনে কারও  বুঝতে অসুবিধা হয়নি এখানে অভিনেতা তাঁর স্ত্রীর কথাই বলছেন। ইতিমধ্যেই অভিনেতার স্ত্রী দেবযানি আইনি সাহায্য নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।

এরই মাঝে ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত বোমা ফাটিয়ে বিবেক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ঋষি (Rishi Kaushik)। এদিন ফেসবুকের পাতায় ঋষি তরফে লেখা হয়েছে,’চোখ বিক্রি করে আমি এই শহরে এসেছি। চারদিকে তাই কাউকে দেখি না। পথের মধ্যে একজন বলেছিল, কান দুটাও রেখে যাও। রেখে এলাম। এখন আমি আর ভালো-মন্দ কিচ্ছু শুনি না। তাও মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে এই শহরে। একজনকে বললাম, এই খারাপ লাগার কারণ কী? বললেন, বোকা ছেলে সব বিক্রি করেছো, বিবেকটা বিক্রি না করলে তো এমন হবেই।’

আরও পড়ুন: রচনাই Didi No 1! আর কেউ নিতে পারবে না জায়গা, অবশেষে কারণ জানালেন অভিনেত্রী

এখানেই শেষ নয়! সেইসাথে অভিনেতার আরও সংযোজন, ‘এরপর এই শহরে আমি একজন ভালো ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছি। কয়েকজনকে পেয়ে বললাম, একটা বিবেক ছিল। খুব কমে বেচতে চাই। নেবেন ভাই? বললেন, মাথা খারাপ! আমরা এই মাত্রই নিজেদের বিবেকও বেচে দিয়ে এলাম।’ তবে এই লেখাটি যে সংগৃহীত পোস্টের শেষে সেকথাও জানাতে ভোলেননি ঋষি।

Rishi Debjani

অন্যদিকে চুপ থাকেননি দেবযানীও। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছিলেন তিনিও। সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বড়সড় একটি পোস্টে দেবযানী দাবি করেন, ‘এ বিষয়ে প্রথমেই আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হয়েছে তার প্রতিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অন্যায্য এবং কাল্পনিক। এগুলি করার একমাত্র কারণ আমার সামাজিক সম্মানহানি করা, আমার ক্ষতি করা এবং পোস্টদাতার নিজের নীচ উদ্দেশ্য সাধন করা। ‘

এরপর দেশের আইনের প্রতি আস্থা রাখার কথা জানিয়ে দেবযানী বলেছেন ‘কোনো ভদ্র মানুষের যদি আদৌ এধরনের কোন অভিযোগ থাকে, তাহলে তিনি কোর্টে যাবেন সেই সমস্যা সমাধানে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনগণের মতামত নিতে যাবেন না। এটি আমার ওপর করা তার দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক অত্যাচার আর নিষ্ঠুরতার আর একটি অধ্যায়। আমার ধৈর্য্য আর সহনশীলতার অন্যায় সুযোগ নিয়ে এটি করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমি আইনী পরামর্শ নিচ্ছি। এ বিষয়ে বেশি বলার মতো অবস্থায় আমি নেই।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর