চারপাশে অশান্ত পরিবেশ! এই প্রথম ছেলের হাত ধরে কলকাতার পুজো দেখবেন ‘দুর্গা ‘ পায়েল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যেই ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজোর বাকি আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকদিন । এবছর যদিও কলকাতার পুজোর আমেজটাই একেবারে ফিকে হয়ে গিয়েছে। আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে শহর জুড়ে শুধু একটাই দাবি বিচার চাই। কেউ কেউ আবার বলছেন উৎসবে ফিরেও প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার কথা। এরই মধ্যে অনেকেই টুকটাক শপিং থেকে শুরু করে পুজোর আনুষাঙ্গিক সমস্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। একই ব্যস্ততা রয়েছে বাংলা বিনোদন জগতের তারকাদের মধ্যেও। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে (Payel De)

পুজোর প্ল্যান শেয়ার করে নিলেন পায়েল (Payel De) 

টেলিভিশনের পর্দায় এই অভিনেত্রীকে (Payel De)  একাধিকবার দেবীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছেন দর্শক। কখনও দুর্গা আবার কখনও কালী রূপে তিনি মন জয় করে নিয়েছেন বাংলার দর্শকদের। অথচ জানলে অবাক হবেন কলকাতার প্রাণের উৎসবে শহরে থাকেন না অভিনেত্রী (Payel De) । প্রত্যেক পুজোয় পাহাড় প্রেমী পায়েল সপরিবারে ঘুরতে চলে যান পাহাড়ে।

   

কিন্তু এবছর নাকি ব্যাতিক্রম হতে চলেছে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন এবছর প্রথমবার সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় ঠাকুর দেখবেন অভিনেত্রী। পায়েলের কথায়, ‘এ বছর পুজোতে কলকাতাতেই থাকছি। আমার সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখব। কলকাতার জমজমাট পুজো দেখে ওর চোখ কতটা ঝলমল করবে, সেটা উপভোগ করব।’

প্রসঙ্গত প্রত্যেক বাঙালীরই দুর্গাপুজো ঘিরে থাকে ছোটবেলার পুরনো নস্টালজিয়া। ব্যাতিক্রম নন পায়েলও । টেলি জগতের ব্যস্ততা থেকে দূরে ছোটবেলার সেই পুরনো স্মৃতি হাতড়েই অভিনেত্রী এদিন বলেছেন, ‘ছোটবেলার পুজো মানেই মা-বাবার হাত ধরে পুজো প্যান্ডেল ঘোরা। তবে ছোটবেলায় ভিড়ে যেতে খুব একটা পছন্দ করতাম না। খুব ভয় পেতাম।’

আরও পড়ুন : লুক সেট হওয়ার পরেও ‘রাণী’ থেকে বাদ! প্রতিক্রিয়া জানালেন ‘তোমাদের রাণী’ অভীকা

সেই সাথে পুজোর চিরাচরিত এক অভ্যাসের কথা ভাগ করে নিয়ে অভিনেত্রী এদিন বলেছেন, ‘আমার মনে আছে, পুজোর সময় বাবার মারুতি ৮০০ গাড়িতে বসে পার্ক সার্কাসে যেতাম। সেখানে আমার আকর্ষণ ছিল, দুর্গা প্রতিমা আর হজমি গুলি। বাবা গাড়িটা পার্ক করত, প্যান্ডেলে যেতাম। প্রতিমা দর্শন করতাম। তার পর দোকানে গিয়ে হজমি গুলি কিনে বাড়িতে চলে আসতাম।’

Payel 1
তবে এখন কাজের ব্যস্ততায় অভিনেত্রীর জীবনে পুজো আর আগের মতো নেই ঠিকই । তবে তিনি চেষ্টা করেন,অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার। যদিও পায়েল জানিয়েছেন, কয়েকবছর ধরে নাকি সেটা হচ্ছে না। কারণ, ‘আমি পাহাড় পছন্দ করি। পুজোর সময় পাহাড়ে ঘুরতে যাই। ওখানে গেলে পাহাড়ের পুজো দেখি। কিন্তু অঞ্জলি দেওয়া হয় না। আসলে পাহাড়ে গেলে কবে সপ্তমী, কবে অষ্টমী বুঝতেই পারি না। পুজোটা দেখি, কিন্তু পুজো দেওয়া হয় না।’

সবশেষে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনার কথা জানিয়েছেন পায়েল। তিনি বলেছেন, ‘মায়ের কাছে এবার একটাই প্রার্থনা, সুবিচার। আমাদের আশপাশের পরিবেশটা সুস্থ ও সুন্দর হয়ে উঠুক এটাই কামনা।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর