‘ত্রিনয়নী’ খ্যাতি দিলেও টাকা দেয়নি! বিস্ফোরক বাংলা সিরিয়ালের ‘নয়ন’ শ্রুতি দাস

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় নাম শ্রুতি দাস (Shruti Das)। টেলিভিশনের পর্দায় তিনি কখনও ‘ত্রিনয়নী’র (Trinayani) নয়ন, কখনও ‘দেশের মাটি’র নোয়া আবার কখনো ‘রাঙা বউ’-এর পাখি চরিত্রের হাত ধরেই হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের ঘরের মেয়ে। শ্রুতি (Shruti Das) খুব অল্পদিনই একের পর এক হিট  সিরিয়ালের প্রধান নায়িকা হয়েছেন।

প্রথম সিরিয়াল ‘ত্রিনয়নী’ নিয়ে শ্রুতি দাস (Shruti Das)

যদিও গায়ের রং-এর জন্য একসময় কটাক্ষের মুখেও পড়েছিলেন অভিনেত্রী (Shruti Das) । যদিও নিন্দুকদের ছেড়ে কথা বলেননি অভিনেত্রী। তাই সেসময় তিনি থানা পুলিশ করতেও ছাড়েননি। কাটোয়া থেকে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন একসময়। এমন সময় সুযোগ পান স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার পরিচালিত জি বাংলার মেগা সিরিয়াল ত্রিনয়নীতে অভিনয় করার।

   

এই সিরিয়ালের হাত ধরেই প্রথম বড় ব্রেক পেয়েছিলেন তিনি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পরেই  স্টার জলসার আরো এক ধারাবাহিকে প্রধান নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ আসে তাঁর কাছে। যদিও দেশের মাটি শেষ হওয়ার পর মাঝে অনেক দিনের বিরতি নিয়েছিলেন শ্রুতি (Shruti Das) ।

আরও পড়ুন : অভিনয়ের জন্য ছেড়েছেন স্কুল! ১৫ বছর ধরে ফ্লপ, একটা সিনেমাই ভাগ্য বদলে দেয় এই ‘বলি সুন্দরী’র

প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও কোন কাজ মিলছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন নায়িকা। আর এবার প্রথম সিরিয়াল ‘ত্রিনয়নী’ নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল জোস টক-এ  বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শ্রুতি। শ্রুতির দাবি প্রথম সিরিয়াল ত্রিনয়নী তাঁকে খ্যাতি দিলেও দেয়নি টাকা। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিজের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেন পর্দার নয়ন।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শ্রুতি স্পষ্ট বলছেন, ‘মাত্র তিন বছর হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। অনেকেই বলেছেন আমি আমার বয়ফ্রেন্ডকে ব্যবহার করে কাজ পেয়েছি। কিন্তু সবাইকে আগে জানতে হবে সেই মানুষটা কিন্তু কাটোয়া থেকে আমায় টালিগঞ্জে নিয়ে আসেন নি।’

এরপরেই শ্রুতির দাবি করেন, ‘প্রথম সিরিয়াল ত্রিনয়নী আমাকে প্রচুর খ্যাতি দিয়েছে টাকা দেয়নি। যেটা আমি ডিসার্ভ করি সেটা আমি পাই নি।’ তবে তখন অভিনেত্রীর বাবার বাবার দুহাজার টাকা ইনকাম তাই প্রথম কাজ হিসাবে তখন যে অ্যামাউন্ট তাঁকে অফার করা হয়েছিল, সেখানে তিনি মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ভেবেছিলেন ‘এই টুকু বাড়ানো যায় কি?’

কিন্তু পরে খোঁজ খবর নিয়ে চোক যান অভিনেত্রী। কারণ তিনি জানতে পারেন এটা নাকি একদমই নুন্যতম। শ্রুতির কথায়, ‘বরং আমিই বোকা ছিলাম যে এত কম এক্সপেকটেশন রেখেছিলাম। তবে এই নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই, কোন অভিযোগও নেই। বরং আমার কাছে ওই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ওই অর্থটা অনেকটা। কারণ আমি বারো হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিয়ে কলকাতায় আমার বাবা-মাকে রাখতে পেরেছি।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর