বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাঙালির ড্রয়িং রুমের অতি পরিচিত একজন অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায় (Twarita Chatterjee)। তবে অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি ত্বরিতার (Twarita Chatterjee) রয়েছে আরও এক বিশেষ পরিচয়। মহানায়ক উত্তম কুমারের পরিবারের সদস্য ত্বরিতা হলেন বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতা তরুণ কুমারের নাত বউ। তরুণ কুমারের নাতি সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বিয়ে হয়েছে ত্বরিতার।
আবেগপ্রবণ অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায় (Twarita Chatterjee)
দেখতে দেখতে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল তাঁদের বিয়ের। বিয়ের পর সুখে শান্তিতে সংসার করছেন অভিনেত্রী। টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত অধিকাংশ মেগা সিরিয়াল গুলিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেই নজর কেড়েছেন ত্বরিতা। বেশ কিছু ধারাবাহিকের অভিনয় করেছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও।
অভিনয়ের পাশাপাশি ত্বরিতাপেশায় একজন ডায়েটিসিয়ান। তবে অভিনয় জগতে সাফল্য পেলেও এই ছোটবেলাটা কেটেছিল খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে। সম্প্রতি অভিনেত্রী এসেছিলেন জোশ টকসের মঞ্চে। সেখানেই অতীতের ঘটনা প্রসঙ্গে ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে ত্বরিতার চোখ ভিজে উঠেছিল কান্নায়।
আরও পড়ুন : ‘তুমিই আমায় আগলে রেখেছ’! বিয়ের পর প্রথম পুজোয় আদৃত-কৌশাম্বীর আদুরে ছবি
মেয়ে হয়ে জন্মানোয় সেসময় নাকি তাঁর বাড়ির কেউই খুশি হননি। কিন্তু কেন? আসলে ত্বরিতা তাঁর পরিবারের দ্বিতীয় কন্যা সন্তান। সবাই বাড়িতে ছেলে সন্তান আসার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু মেয়ের পিঠে মেয়ে হওয়ায় কেউ খুশি হতে পারেননি। তাছাড়া খুব ছোটবেলাতেই বাবাকেও হারিয়ে ছিলেন অভিনেত্রী।
কি বললেন ত্বরিতা (Twarita Chatterjee)?
অভিনেত্রীর কথায় ‘আমার দিদি আছে। আমি যখন হই তখন পরিবারের সবাই ভেবেছিলেন এবার হয়তো ছেলে হবে। কিন্তু মায়ের দ্বিতীয় সন্তানও যখন মেয়ে হয় তখন কারও ভাল লাগেনি। আমার বাবা খুব খুশি হয়েছিলেন। তার পর খুব ছোটবেলাতেই বাবাকে হারাই। ফলে আমার পরিশ্রমটা আরও দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। ছোট থেকেই বুঝে ছিলাম আমাকেই মায়ের ঢাল হতে হবে।’
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার