বাংলা হান্ট ডেস্ক: মার্চ মাস থেকেই কার্যত মাথায় হাত পড়তে চলেছে টিভি দর্শকদের। এমনকি, গত শনিবারই কলকাতার (Kolkata) হাজার হাজার বাড়িতে রীতিমতো বন্ধ হয়ে যায় টিভি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান সময়ে হ্যাথওয়ে, ডেন, জিটিপিএল-কেসিবিপি, ফাস্টওয়ের মতো একাধিক কেবল অপারেটররা সেটটপ বক্সের মাধ্যমে শহর কলকাতার প্রতিটি ঘরে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সংযোগ পৌঁছে দেয়।
যদিও, সম্প্রতি Star, Zee, Sony-র মতো বড় সংস্থাগুলির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি মানতে নারাজ ছিল এই মাল্টি সিস্টেম অপারেটরগুলি। যার জেরে গত শনিবার বিঘ্নিত হয় পরিষেবা। তবে, কলকাতার পাশাপাশি তার সংলগ্ন জেলাগুলি অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও হাওড়া এবং হুগলিতেও অনেক বাড়িতে বন্ধ হয়ে যায় টিভি।
যার ফলে, রাজ্যের প্রায় ৪১ লক্ষ পরিবার জনপ্রিয় সব চ্যানেলগুলি দেখা বঞ্চিত থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, বড় বড় নেটওয়ার্কগুলির সঙ্গে খুব দ্রুত এহেন সমস্যার সমাধান হবে। তবে, অপারেটরদের দাবি হল ইতিমধ্যেই আদালত এহেন মূল্যবৃদ্ধির ওপর আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তারই মধ্যে এভাবে চ্যানেলের প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়ে রীতিমতো বেআইনি কাজ করেছেন ব্রডক্রাস্টাররা।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে Jio, Airtel-এর মতো সংস্থাগুলি বর্তমানে ব্রডব্যান্ড প্ল্যানের সঙ্গে এখন টিভি লাইনের পরিষেবাকেও জুড়ে দিচ্ছে। যার ফলে স্বল্প মূল্যে বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ এবং টিভি দেখতে পাচ্ছেন গ্রাহকেরা। এমনকি, এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কেবিল ছেড়ে ওইসব প্ল্যানগুলি গ্রহণের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। যার ফলে, এমনিতেই বাজার আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
এমতাবস্থায়, আগামী ১ মার্চ থেকে কেবল টিভি সংযোগের খরচ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এই আবহে কেবিল সংযোগে খরচ বাড়লে ব্যবসা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই ভেবে বেশ কিছু মাল্টি-সিস্টেম অপারেটর এবং স্থানীয় কেবল অপারেটররা এর বিরোধিতা করেছেন। এমনকি, তাঁরা এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জিটিপিএল-কেসিবিপিএল সহ বেশ কয়েকটি অপারেটর টিভিতে স্ক্রোল চালিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বিষয়টি অবগত করে জানিয়েছিল যে, এই দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে তারা নয়া মূল্য বাস্তবায়ন না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মূলত, কলকাতার মোট পাঁচটি কেবল অপারেটর সংস্থা এই মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিল। যদিও, ইতিমধ্যেই কলকাতার বৃহত্তম মাল্টি সিস্টেম অপারেটর সিটি কেবিল এই নয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এদিকে কেরল হাইকোর্টেও এই সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছে। যেটির পরিপ্রেক্ষিতে কেরল হাইকোর্ট ২০ তারিখ পর্যন্ত এই মূল্যবৃদ্ধির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।