একসঙ্গে জন্ম, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা থেকে একই মণ্ডপে বিয়ে! যমজ বোনের বর হলেন যমজ দুই ভাই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি একইসাথে যমজ বোনকে বিয়ে (Marriage) করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মহারাষ্ট্রের এক যুবক। যে ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় সর্বত্র। এমনকি, ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরালও হয়ে যায় নেটমাধ্যমে (Social Media)। তবে, এবার ঠিক যেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যসাগরের লেখা “ভ্রান্তিবিলাস”-এর চরিত্রদেরই দেখা মিলল বাস্তবে। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার কুরমুনে দুই যমজ ভাইকে (Twin Brother) বিয়ে করে সবাইকে অবাক করলেন দুই যমজ বোন (Twin Sister)।

হ্যাঁ, প্রথমে শুনে কিছুটা অবাক হয়ে গেলেও এবার ঠিক এই নজিরবিহীন ঘটনাই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার কুরমুন গ্রামে বিয়ে হয় লব-অর্পিতা ও কুশ-পারমিতার। ছোটবেলা থেকেই একইসাথে বেড়ে ওঠা অর্পিতা এবং পারমিতা একইসঙ্গে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি, এই দুই যমজ বোন সদ্য কলেজ পাশ করেন। এরপর থেকেই তাঁদের পরিবারের সদস্যরা তাঁদের জন্য পাত্র দেখা শুরু করে দেন।

কিন্তু, অর্পিতা এবং পারমিতা কিছুতেই একে অপরকে ছেড়ে থাকতে রাজি ছিলেন না। বরং তাঁদের ইচ্ছে ছিল, বিয়ে হলে যেন একই বাড়িতেই বিয়ে হয় তাঁদের। এই প্রসঙ্গে অর্পিতা ও পারমিতা জানান, ছোটবেলা থেকেই দু’জনে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাই দুই বোন একই বাড়িতে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি, তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বাবা-মাকেও জানিয়েছিলেন অর্পিতা ও পারমিতা। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের জন্য যমজ পাত্র খুঁজতে শুরু করেন। অর্পিতা ও পারমিতার বাবা গৌরচন্দ্র সাঁতরা স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন।

এই প্রসঙ্গে গৌরচন্দ্র বাবু জানান, মেয়েরা যখন তাঁর কাছে নিজেদের ইচ্ছের কথা জানায় তখন তিনি যমজ পাত্রের খোঁজ করতে শুরু করেন। আর তখনই তাঁরা পূর্ব বর্ধমান জেলারই ভাতারে খোঁজ পেয়ে যান লব এবং কুশ নামের যমজ দুই ভাইয়ের। এরপর তাঁদের পরিবারের সাথে বিবাহসংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয় এবং গত ৫ ডিসেম্বর বিয়ের দিন নির্ধারিত হয়।

whatsapp image 2022 12 07 at 3.42.18 pm

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, লব এবং কুশ দু’জনেই একই কোম্পানিতে কাজ করেন। এমতাবস্থায়, গত ৫ ডিসেম্বর ধুমধাম করে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ওই সময়ে লব এবং কুশ নীল রঙের কুর্তা-পাজামা পরেছিলেন। পাশাপাশি, অর্পিতা এবং পারমিতা লাল রঙের শাড়ি পরেছিলেন। এছাড়াও দুই বোনের অলঙ্কার এবং সাজসজ্জাও ছিল একই রকম। এদিকে, এহেন নজিরবিহীন বিয়ের প্রসঙ্গ সামনে আসতেই তাঁদেরকে শুভকামনা জানিয়েছেন প্রত্যেকেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর