বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুদ্ধের প্রস্তুতি শেষ। নয়টার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য প্রস্তুত প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ। বেআইনিভাবে নির্মাণের জন্য আদালতে নির্দেশে নয়ডার এই গগনচুম্বি টুইন টাওয়ারকে ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ অর্থাৎ ২৮শে আগস্ট রবিবার মোট ১২ টি ধাপে ধ্বংস করা হবে এই স্বপ্ন নির্মাণ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত:
সকাল ৬:৩০: বন্ধ করে দেওয়া হয় পাইপলাইন গ্যাসের যাবতীয় সরবরাহ।
সকাল ৭ : আবাসনের বাসিন্দাদের ধীরে ধীরে স্থানান্তরিত করা হয় অন্য জায়গায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় টুইন টাওয়ার সংলগ্ন রাস্তা গুলি।
সকাল ৯: ফাঁকা করে দেখা হয় বহুতলের আশেপাশের এলাকা গুলি।
সকাল ১১: আবাসনের নিরাপত্তায় থাকা কর্মীদের সরানো হয় অন্যত্র।
দুপুর ১: টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকেরা অট্টালিকা চত্বর পরীক্ষা করার পর এলাকা ছাড়বেন।
দুপুর ১:৪৫: গগনচুম্বী অট্টালিকা ধ্বংসের আগে পুনরায় একবার পরিদর্শন করবেন বিশেষজ্ঞরা।
দুপুর ২:১৫: বন্ধ করা হবে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে।
দুপুর ২:৩০: শুরু হবে এই যমজ অট্টালিকা ধ্বংসের কাজ।
দুপুর ২:৪৫: নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হবে।
বিকাল ৪: আশেপাশের আবাসন গুলির গ্যাস লাইন পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে। তবে পুরোদমে পরিষেবা চালু হতে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লেগে যেতে পারে।
বিকাল ৫:৩০: বিশেষজ্ঞরা সব দিক খতিয়ে দেখে পুনরায় আবার আশেপাশের বাসিন্দাদের বাসস্থানের ফিরে আসতে বলবেন।
এছাড়াও এই ধ্বংস যজ্ঞ চলার সময় আশেপাশের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ছাদে যেতেও বারণ করা হয়েছে তাদের। প্রশাসনের তরফ থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ওই এলাকায় ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে অট্টালিকা ধ্বংসের সময় ১.৮ কিলোমিটার সংলগ্ন এলাকা জুড়ে কোন বিমান উঠতে পারবে না। আপতকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে দমকল ও অ্যাম্বুলেন্সকে।