বাংলাহান্ট ডেস্ক: খান সুপারস্টাররা যতই সফল হন না কেন, বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) সম্পত্তির পরিমাণ কিন্তু তাবড় ধনকুবেরকেও প্রতিযোগিতায় ফেলে দিতে পারে। কয়েক দশক ধরে একটানা বিরামহীন ভাবে কাজ করে চলেছেন আক্কি। পারিশ্রমিকের অঙ্কও বাড়ছে দিনকে দিন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই টাকার কানাকড়িও কিন্তু স্ত্রী টুইঙ্কল খান্নাকে (Twinkle Khanna) দেন না অক্ষয়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘টুইক ইন্ডিয়া’তে টুইঙ্কল জানিয়েছিলেন, ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ তিনি নিজেই বহন করেন। টাকা খুব বেশি খরচ করতে পছন্দ করেন না তিনি। জমিয়ে রাখতেই বরং ভালবাসেন। সেই টাকায় ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করান, নিজেও মাস্টার্স কোর্স শুরু করেছেন।
টুইঙ্কল জানান, প্রথম পারিশ্রমিক তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। কিন্তু তাতে শুধু লাড্ডু কেনা ছাড়া আর কিছুই হত না। ঠিকঠাক পারিশ্রমিক যখন তিনি পেয়েছিলেন, সেই টাকা দিয়ে একটা গাড়ি কিনেছিলেন। এখন মেয়ের কলেজের জন্য জমানো টাকা নিজের মাস্টার্স কোর্সের কাজে লাগাচ্ছেন টুইঙ্কল।
প্রাক্তন অভিনেত্রী বলেন, “আমি চাই ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে বলুক যে আমাদের মা শুধু আলু পরোটা খাওয়ায়নি, আমাদের পড়াশোনার খরচও দিয়েছে। আমি নিজে খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। কোনো কিছুতেই টাকা খরচ করি না। আমা পরিবার আমাকে এই বলে রাগায় যে আমি যদি কিছুতে খরচই না করি, তাহলে রোজগার করছি কেন।”
রাজেশ খান্না এবং ডিম্পল কাপাডিয়ার মেয়ে টুইঙ্কল ১৯৯৫ সালে বলিউডে পা রেখেছিলেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘বরসাত’। কিন্তু বাবা মায়ের ধারা বজায় রাখতে পারেননি তিনি। অভিনয়ে নাম করতে না পেরে ২০০১ সালে ‘লভ কে লিয়ে কুছ ভি করেগা’র পর বলিউডকে বিদায় জানান টুইঙ্কল। বরং জামাই অক্ষয় শ্বশুর শাশুড়ির জনপ্রিয়তার মান রেখেছেন।
২০১৫ সালে লেখিকা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন টুইঙ্কল। মিসেস ফানিবোনস ছদ্মনামে লেখেন তিনি। অভিনয়ের থেকে লেখিকা হিসাবেই বেশি নাম করেছেন টুইঙ্কল। তাঁর একাধিক লেখা নিয়ে ছবিও তৈরি হয়েছে যেখানে অভিনয় করেছেন অক্ষয়।