বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেছে-বেছে ভারতীয়দের ছাঁটাই করছেন ইলন মাস্ক (Elone Musk)। টুইটার (Twitter) কেনার পরই এই অভিযোগ ওঠে ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে। টুইটার অধিগ্রহণের পরই শীর্ষ পদ থেকে সিইও পরাগ আগরওয়াল (Parag Agarwal) এবং লিগ্যাল একজিকিউটিভ বিজয়া গাড্ডাকে সরিয়ে দেন মাস্ক। তারপরই এই অভিযোগ তীব্র হয়ে ওঠে।
তবে এই মুহূর্তে টেক-দুনিয়ায় যে খবর উড়ছে তা যদি শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়, তা হলে মাস্কের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ধোপে টিকবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শোনা যাচ্ছে, ইলন মাস্ক টুইটারের পুনর্গঠনে অপর এক ভারতীয়ের উপরে ভরসা রাখছেন। তিনি শ্রীরাম কৃষ্ণন। 16z crypto-র জেনারেল পার্টনার শ্রীরাম নিজেই টুইট করে টুইটারের সঙ্গে সাময়িকভাবে কাজ করার কথা ঘোষণা করেন। এরপরই জল্পনা উঠছে তা হলে পরাগের পরিবর্তে মাস্কের নতুন টিমে কি জায়গা করে নিতে পারেন শ্রীরাম?
শ্রীরামের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং টেক-জগতে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার এই জল্পনার আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে। ভারতের চেন্নাইয়ে নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া শ্রীরাম ২০০৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলে মাইক্রোসফ্টের হয়ে কাজে যোগ দেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২১ বছর। মাইক্রোসফ্টের উইন্ডোস আজুরির-এর একাধিক প্রকল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। এর উপরে শ্রীরাম একটি বইও লেখেন।— ‘প্রোগ্রামিং উইন্ডোস আজুরি।’
তারপর শ্রীরাম স্ন্যাপ এবং ফেসবুকের-এর একাধিক অ্যাড প্রোডাক্টেও কাজ করেন। এছাড়াও শ্রীরাম টুইটার, মেটা এবং মাইক্রোসফ্ট-এর বিজ্ঞাপন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকেও নেতৃত্ব দেব একটা সময়।
এমনকী, 16z-এ যোগদানের আগে শ্রীরাম টুইটারের মূল কনজিউমার টিমের প্রধানও ছিলেন। তাই টুইটারে কাজ করা শ্রীরামের ক্ষেত্রে একটা বাড়তি সুবিধা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
৩৮ বছর বয়সি এই টেকনোলজিস্ট এবং ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে থাকেন। এখনও পর্যন্ত শ্রীরাম ২৩টি স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছেন। বিটস্কি, হোপিন এবং পলিওয়ার্ক-এর বোর্ডেও রয়েছেন এই ভারতীয়।
শ্রীরাম ব্যক্তিগত ভাবে ক্রিপ্টো এবং কনিজিউমার টেক নিয়ে ভীষণ আগ্রহী। তবে এসবের বাইরে শ্রীরাম স্ত্রী আরতি রামমূর্তির সঙ্গে ইউটিউবে ‘গুট টাইম সো’ নামে একটি অনুষ্ঠান হোস্ট করেন।