ফারাক্কায় অ্যাম্বুলেন্স তুলে নাবালিকাকে গণধর্ষণ! ধাওয়া করে দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রোগীকে এমার্জেন্সিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেই বাহনের উপর ভরসা করা হয়, সেটি হল অ্যাম্বুলেন্স। গোটা বিশ্বেই অ্যাম্বুলেন্স চালকদের একটা আলাদা সম্মান রয়েছে। কারণ ডাক্তারদের আগে তাঁদের হাতেই থাকে রোগীকে বাঁচানোর দায়িত্ব। কিন্তু এই অ্যাম্বুলেন্স চালকই যদি নরপিশাচ হয়ে যায়? এরকমই এক ঘটনা ঘটে গেল মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কায়।

শুক্রবার রাতে ফারাক্কায় এক অ্যাম্বুলেন্স চালক আর তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা নাবালিকা মালদহের চকসুদাপুরের বাসিন্দা। ছুটিতে সে মুর্শিদাবাদের মামাবাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। কিন্তু ঘুরতে এসেই বিপত্তি। ১৫ বছরের ওই নাবালিকাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ধর্ষণ করে চালক আর তাঁর সহযোগী।

নির্যাতিতার পরিবার জানায়, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল নাবালিকা। এরপর সে ফারাক্কার এনটিপিসি সামনে দাঁড়িয়েছিল। আর তখনই অ্যাম্বুলেন্সটি সেখানে পৌঁছয় আর ওই নাবালিকাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় চালক আর তাঁর সহযোগী।

শুক্রবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সটিকে ফারাক্কার একটি এলাকাতে ঘুরঘুর করতে দেখে সন্দেহ করে সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা। তখনই সন্দেহের বসে অ্যাম্বুলেন্সটিকে তাড়া করে তাঁরা, এরপর অ্যাম্বুলেন্স চালক নির্যাতিতাকে সেখানে ফেলে দিয়ে পালায়। সিভিকরা নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান তাঁর মেডিক্যাল করানো হয়।

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাওয়া করে চালক আর তাঁর সহযোগীকে গেফতার করে। গ্রেফতার করা ওই দুই অভিযুক্তের নাম মহম্মদ করিম শেখ ও টারজান শেখ। ২ জনই পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক। আজ দুজনকেই জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা হয়েছে।

X