বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা টিকিট না পেয়ে কান্নাকাটি করেছিলেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী তৃণমূলের দাপুটে বিধায়ক সোনালী গুহ। এরপরই তিনি দলত্যাগ করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। আর এবার তিনি আবারও তৃণমূলে ফেরত যেতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাতর আবেদন করলেন।
টুইটারে একটি পোস্ট করে সোনালী গুহ লেখেন, ‘সম্মানীয় দিদি, আমার প্রণাম নেবেন। আমি সোনালী গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। ওটা আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আমি সেখানে মানিয়ে নিতে পারছি না। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি। আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন।”
প্রিয় দিদি @MamataOfficial @AITCofficial pic.twitter.com/ZOtiSvvUSO
— SONALI GUHA (BOSE) (@SONALIGUHABOSE) May 22, 2021
সোনালী গুহ আরও লেখেন, ‘আপনি আমাকে ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।” সোনালী গুহর এই পোস্টের পর বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘এটা রাজনীতি। এখানে মান অভিমানের কোনও জায়গা নেই। যে যেখানে পারবে, সে সেখানে গিয়ে ভালো থাকুক। এটা ওনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।” আরেকদিকে, তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।
আরেকদিকে, এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের দুই বিজেপি নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে দল ছাড়লেন। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে দল বিজেপিতে ছেড়েছিলেন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। নারদা কাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিজেপি ছেড়েছিলেন তিনি। দীপেন্দু বিশ্বাসের পথে হেঁটে এবার দল ছাড়লেন দাঁতনের দুই বিজেপি নেতা।
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দল ছাড়েন দাঁতনের এক নম্বর ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি রঞ্জিত মল্লিক এবং কিষাণ মোর্চার সভাপতি বিকাশ দাস। করোনা কালে নারদা কাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদেই তাঁরা বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
রঞ্জিত মল্লিক অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিজেপির নেতারা ওনার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেন নি। তিনি জানান, পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত কারণবশতই দল থেকে ইস্তফা দিলাম। আরেকদিকে, বিকাশ দাস বলেন, করোনার মধ্যে ফিরহাদ হাকিমদের গ্রেফতারি নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ। আর সেই কারণেই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।