বাংলা হান্ট ডেস্ক: এই নিয়ে পরপর দুই শিশু আক্রান্ত হয়েছন বার্ড ফ্লু-তে (Bird Flu)। কলকাতায় এসে H9N2 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল এক আড়াই বছরের শিশু। এছাড়া কিছুদিন আগেই এক চার বছরের একটি শিশুও আক্রান্ত হয়েছিল বার্ড ফ্লু-তে। তার বাড়ি উত্তরবঙ্গের মালদহের কালিয়াচকে। তবে দীর্ঘ চিকিৎসার পর তারা দুজনেই এখন ভালো আছে।
রাজ্যের দুই শিশুর বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসার পরেই উদ্বেগ বাড়ছে মুরগির ডিম এবং মাংস খাওয়া নিয়ে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে পোলট্রির ডিম বা মাংস খেলে কোন বিপদ হবে না তো? মুরগির ডিম মাংস থেকে এই রোগ ছড়াবে না তো? এবার এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতেই বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব (Health Secretary) নারায়ণ স্বরূপ নিগম ( Narayan Swaroop Nigam)।
বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত মালদহের শিশুর প্রসঙ্গে এদিন স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, মালদহের ওই শিশুর চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ প্রথমে ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। এরপর প্রথমে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে এবং তারপর কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয় তার চিকিৎসা। পরবর্তীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ওই শিশুর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
সেখানেই পরীক্ষায করে দেখা যায় ওই শিশুর দেহে H9N2 ভাইরাসের স্ট্রেন রয়েছে। তবে প্রথম নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও পরের বার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে এখন ওই শিশু সুস্থ আছে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: বড়সড় কিছু প্ল্যান? এবার ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া BJP কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দু
এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল আরও এক আড়াই বছরের শিশু। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে কলকাতা থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ফিরে যাওয়ার পর তার দেহে H5N1 স্ট্রেনের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস পাওয়া যায়। তবে জানা যাচ্ছে এই দুই শিশুর সংস্পর্শে আসা অভিভাবক কিংবা অন্য কোনও ব্যক্তির শরীরেই এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও এদিন স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস সংক্রান্ত যে সমীক্ষা হয় তাতেও নাকি এই কেসের ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কোনো রিপোস্ট পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন খুব কড়া নজরদারি চালিয়েও নাকি নাকি কোনো পোলট্রি বার্ডের মধ্যেও কিছু ধরা পড়েনি। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এছাড়া হাঁস-মুরগির মাংস, কিংবা ডিম খাওয়া নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা কিংবা সতর্কবার্তাও নেই।