বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংকটের মধ্যেই বিভিন্ন মর্মস্পর্শী ঘটনার মধ্যে জগদলপুরের (Jagdalpur) দুই মেয়ে করল মায়ের মুখাগ্নি। ছেলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করল দুই মেয়ে। করোনার কারণে এগিয়ে আসেনি কোন প্রতিবেশীও।
দুই মেয়ে করল ছেলের দায়িত্ব পালন
সমাজে মেয়ে বড় না ছেলে বড় এই নিয়ে অনেক তর্জা চলতে দেখা গিয়েছে। আবার আজকের দিনে দাঁড়িয়েও কোথাও কোথাও মেয়েদের অসম্মানিতও হতে দেখে গিয়েছে পুরুষ শাষিত সমাজের কাছে। কিন্তু মেয়েরাও যে কোন অংশে কম নয়, তারাও যে পুরুষের কাজে সমান পারদর্শী তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। মায়ের মৃত্যুতে মাকে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে শেষকৃত্য সম্পন্ন পর্যন্ত সবকিছুই করল দুই মেয়ে।
বাবার মৃত্যুর এক মাসের মধ্যেই মারা যান মা
জগদলপুরের গঙ্গানগর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী উঙ্গন বাই তাঁর স্বামী এবং দুই কন্যা সন্তান আশা ও রানু কে নিয়ে বসবাস করতেন। সম্প্রতি স্বামী গণেশ মারা যাওয়ার এক মাসের মাথায়ই শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান উঙ্গন বাইও। বাবাকে হারানোর এক মাসের মধ্যেই মায়ের মারা যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ে দুই বোন।
শেষকৃত্য সম্পন্ন করে মেয়েরাই
বর্তমান করোনা সংকটের কারণে এগিয়ে আসেনি একজন প্রতিবেশীও। তখন তারাই ঠিক করেন, নিজেরাই করবেন মায়ের শেষ কাজ। কিন্তু অর্থের সাহায্যের কারণে কাউন্সিলর এবং স্থানীয় মেয়রের কাছে সাহায্য প্রার্থী হয়। তাঁদের সহায়তায় বড় মেয়ে রানু মুখাগ্নি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কাঁধে তুলে নেয় মায়ের শবদেহ
মায়ের শবদেহ কাঁধ দেওয়ার জন্য যখন একজন ও এগিয়ে আসল না, তখন তারা নিজেরাই তাদের মায়ের শবদেহ কাঁধে তুলে নিল। বেদনাদায়ক এই চিত্র দেখে আশেপাশে কয়েকজন এগিয়ে এসে তাঁদের সাহায্য করে। এবং শবদেহ কাঁধে করে নিতে যেতে সহায়তা করে। শেষে পানারপাড়া শ্মশানে নিয়ে গিয়ে তারা তাঁদের মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। জ্বলন্ত চিতার পাশে দাঁড়িয়ে করুণ জল ভরা দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে দুই বোন।