বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গর্ভস্থ সন্তানকে আগলে আগলে রাখার পর প্রসব বেদনা ওঠায় হাসপাতালে ভর্তি হন গর্ভবতী মা। সেখানেই একটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু জন্মের দুদিনের মধ্যেই হারাতে হয় সেই সন্তানকে। গলায় দুধ আটকে গেলেও, এল না কোন চিকিৎসক। অকালেই চলে গেল দুদিনের শিশুটি।
এমনটাই ঘটেছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে (katwa hospital)। সদ্যজাতকে হারিয়ে হাসপাতালে গেটের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা। পরিবারের অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই, তাঁদের শিশুটি মারা গিয়েছে। যদিও এই ঘটনায় নিজেদের দিকে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লিখিত অভিযোগ পেলে, বিষয়টা তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিষয়টা হল, গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর গর্ভবতী অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নদিয়ার জুরানপুরের বাসিন্দা রিমি ঘোষ। এরপর সঠিক সময়ে একজন সুস্থ সবল সন্তানের জন্মও দেন তিনি। সন্তান জন্মাবার পরও হাসপাতালেই ছিলেন রিমি ঘোষ।
এরপর হঠাৎ বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ দুধ খাওয়ানোর সময় এক বড় অঘটন ঘটে যায়। গলায় দুধ আটকে গিয়ে হেঁচকি উঠতে শুরু করে ওই দুদিনের শিশুটির। সেখানকার কর্তব্যরত নার্সকে জানিয়েও কোন লাভ হয় না। সন্ধ্যে গড়িয়ে গেলেও দেখা মেলে না কোন চিকিৎসকের। অবশেষে সন্ধ্যের দিকে এসএনসিইউতে নিয়ে গিয়েও কোন লাভ হয় না। অনেক লড়াই করে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে সদ্যজাত।
এই ঘটনায় হাসপাতাল গাফিলতিকেই দায়ি করেছে মৃত শিশুর পরিবার। শিশুটির বাবা প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, ‘সঠিক সময়ে চিকিৎসকের অভাবেই আমার সন্তানটা মারা গেল’। এই ঘটনায় সদ্যজাতকে হারিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত শিশুর মা।
এবিষয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় জানিয়েছেন, ‘শিশুটিকে আমরা বাঁচানোর চেষ্টা করেও, দুর্ভাগ্যবশত তা পারিনি। তবে এই বিষয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হতে পারে’।