চোর, ডাকাত নয়! ব্যবসায়ীর থেকে লক্ষাধিক টাকার গহনা লুঠ পুলিশের! হাড়হিম করা ঘটনা কলকাতায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুলিশ মানেই নিরাপত্তার প্রতীক। কিন্তু, এই রক্ষকই যখন ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন নাগরিকদের জীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় বৈকি! খাস কলকাতা তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল। মধ্য কলকাতার বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গয়না লুঠ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২ পুলিশ কর্মী সহ আরও তিনজনকে৷ তিন অভিযুক্ত হল আবদুর সালাম শেখ, সে জয়নগরের বাসিন্দা, সঞ্জয় কুমার শাহ ও ফিরোজ মণ্ডল। এর পাশাপাশি, হাওড়া সিটি পুলিশেরই দুই কনস্টেবলের নাম সুরজিৎ সরকার ও সমীরণ পাত্র। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কেজি রূপার গয়না যার আনুমানিক বাজার দর প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা৷ লুঠ করার সময় ব্যবহৃত একটি সাদা রংয়ের গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়ে বলেই জানা গিয়েছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, সমীর মান্না নামে বড়বাজারের এক ব্যবসায়ী গত মঙ্গলবার হাওড়া থেকে বাসে উঠেছিলেন। বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে বাস থেকে নেমে যান তিনি। তারপর রূপো ভর্তি ব্যাগ নিয়ে যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এগিয়ে আসে স্বয়ং পুলিশ৷ সেই মুহূর্তে নির্জন জায়গায় পুলিশের উপস্থিতি প্রাথমিকভাবে সমীরের মনে স্বস্তি জাগিয়ে ছিল৷ তাই তিনি কিছু আগুপিছু ভাবনা না ভেবেই পুলিশের গাড়িতে উঠে গিয়েছিলেন৷ ব্যাস গাড়িতে ওঠাটাই তাঁর জীবনের কাল হল৷ সমীর মান্নার অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে সমস্ত রূপোর গয়না লুঠ করে তারা একটি অচেনা জায়গায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় সমীরকে। এরপরেই গাড়ি নিয়ে তারা পালিয়ে যেতেই বড়বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী।

66574 arrested

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ ক্ষতিয়ে দেখা হয়। গাড়ির সূত্র ধরে পুলিশ পৌঁছায় হাওড়ার এক সিটি পুলিশের কাছে ৷ নারায়নপুর এলাকা থেকে হাওড়া সিটি পুলিশের দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তাদের জেরা করতেই উঠে আসে ঘটনায় জড়িত আরোও তিন ব্যক্তির নাম। যদিও ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ দোষীদের ধরতে পেরেছে তবুও খোদ পুলিশের এই ধরণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জনসাধারণের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর