বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গত মাসে আরম্ভ হওয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখন প্রায় শেষের মুখে দাঁড়িয়ে। অংশগ্রহণকারী ১৬ টি দলের মধ্যে ১৪ টি দল ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে। অবশিষ্ট আছে কেবল দুটি দল যারা হলো পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড। দুই দলই এর আগে অতীতে একবার করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। কে নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ গড়ে তুলবে তা জানা যাবে রবিবার মেলবোর্নের মাঠে।
তার আগে আইসিসি আজ গোটা টুর্নামেন্ট ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়ার জন্য নয়জন ক্রিকেটারের নাম প্রকাশে এনেছেন। এই নয়টি বিকল্পের মধ্যে থেকে সেরা ক্রিকেটারকে বেছে নিতে হবে। এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দুইজন ভারতীয় ক্রিকেটার। এছাড়া পাকিস্তান থেকে দুজন, ইংল্যান্ড থেকে তিনজন জিম্বাবুয়ে থেকে একজন এবং শ্রীলংকা থেকে একজন ক্রিকেটারের নাম এই তালিকায় রয়েছে। একবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক চলতি বিশ্বকাপে এই নয় ক্রিকেটার সত্যিই আইসিসি প্রকাশিত এই তালিকায় থাকার যোগ্য কিনা।
বিরাট কোহলি: ভারত সেমিফাইনাল থেকে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও বিরাট কোহলির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে হয়তো কেউই প্রশ্ন তুলতে পারবেন না। গোটা টুর্নামেন্টে অসাধারণ ফর্মে থাকার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের দিনও তিনি একটি অর্ধশতরান করেছিলেন।
সূর্যকুমার যাদব: গোটা বিশ্বকাপে না হলেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। তার ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। অনেকে তাকে এবি ডিভিলিয়ার্সের নতুন সংস্করণ বলেও ডাকছেন। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
শাদাব খান: বল এবং ব্যাট হাতে দলের জয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। সেমিফাইনালে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মরণ বাঁচন ম্যাচে ব্যাট এবং বল হাতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
শাহিন আফ্রিদি: টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি খুব একটা ভালো ছন্দে ছিলেন না। দলও তখন জিততে পারেনি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে তিনি উইকেট নেওয়া শুরু করেছেন এবং তারপর থেকে প্রতি ম্যাচই উইকেট নিয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং সেমিফাইনালে তিনি মোট ৭ উইকেটে নিয়ে দলকে ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
স্যাম ক্যারান: সেমিফাইনাল বাদে গোটা টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে এসেছেন এই বাঁ হাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হওয়া দৌড়েও ভালোভাবেই সামিল রয়েছেন তিনি।
জস বাটলার: ইনিও টুর্নামেন্টের শুরুতে খুব একটা ভালো ফর্মে ছিলেন না। কিন্তু গতবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং গতকাল ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তার ব্যাড পরিচিত ছন্দে গর্জেছে এবং ইংল্যান্ডও ম্যাচ দুটিতে বড় জয় পেয়েছে।
অ্যালেক্স হেলস: প্রথম দিকে একেবারে সেরা ছন্দে না থাকলেও খুব একটা খারাপ ফর্মেও ছিলেন না। কিন্তু পরপর নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের বিরুদ্ধে বড় রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া দৌড়ে চলে এসেছে। ইংল্যান্ড যে আজ ফাইনালে পৌঁছেছে ফলাফলে তার বড় অবদান রয়েছে।
সিকান্দার রাজা: জিম্বাবোয়ে যে প্রথম রাউন্ডের বাধা টোপ কে সুপার টোয়েল্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং সেখানে একটি ম্যাচ জিততে পেরেছে পাকিস্তানের মতো দলের বিরুদ্ধে যারা আজ ফাইনাল খেলছে তার অন্যতম বড় কারণ হলো সিকান্দার রাজা। খাতায় কলমে তিনি অধিনায়ক না হলেও তার পারফরম্যান্স উদ্বুদ্ধ করেছে জিম্বাবোয়ে দলকে। ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগ এই অসাধারণ ফর্ম দেখিয়েছেন তিনি।
ওয়ারিন্দু হাসারাঙ্গা: শ্রীলঙ্কা চলতি বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি ম্যাচ অত্যন্ত কাছাকাছি গিয়েও হেরেছে। তারা যে জয়ের অত্যন্ত কাছাকাছি গিয়েছিল এবং প্রথম রাউন্ডে একটি ম্যাচ হারার পরেও তারা সুপার টুয়েলভ এর যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছিল তার একটা বড় কারণ হলো হাসারাঙ্গার বোলিং। চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম রাউন্ড ও সুপার মিলে মোট ১৩ টি উইকেট নিয়েছেন এই তারকা লেগস্পিনার।