বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা নিয়ে দেশে বিতর্ক দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য যত সামনে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি! সম্প্রতি মসজিদের ভিতর থেকে শিবলিঙ্গ উদ্ধার হওয়ার পর মসজিদ চত্বর সিল করার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই এই রায়ের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হলে তারাও সেই নির্দেশ বজায় রাখে। অবশ্য এক্ষেত্রে মসজিদের ভিতরে নামাজ চালু রাখারও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের পূর্ব পরিচয় নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে অপর এক জলঘোলা!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর স্থানীয় মন্দির এবং হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এবং সেই কারণে তাদের সেখানে পুজো করতে দেওয়া হোক বলে দাবি তোলে এক হিন্দু সংগঠন। এর পরেই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশের আদালতের তরফ থেকে মসজিদের ভিতরে পর্যবেক্ষণ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনদিন ব্যাপী চলা এই পর্যবেক্ষণে উঠে আসে একাধিক নতুন তথ্য। তবে শেষ দিন মসজিদের ভিতরে একটি কুয়োর মধ্যে শিবলিঙ্গ পাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। এরপরেই আদালত দ্বারা পুরো মসজিদকে সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হলে এটি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং পি এস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, শিবলিঙ্গ উদ্ধার হওয়ার জায়গাটি সিল করা হবে, তবে মসজিদে নামাজ বন্ধ করা যাবে না এবং এর ভিতরে মুসলিমদের প্রবেশ করার কোনো রকম সীমা বেঁধে দেওয়া হবে না। তবে এই মামলার রায়ের থেকেও বর্তমানে এই দুই বিচারপতি রয়েছেন খবরের শিরোনামে।
উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের আগে অপর একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে এবং যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে পড়ে গোটা দেশ। 2019 সালের সেই অযোধ্যা রাম মন্দির মামলা সম্পর্কে জানে না, এমন দেশবাসী হয়তো আতস কাঁচ নিয়ে খুঁজতে হবে! রাম মন্দির মামলা সংক্রান্ত আদালতের রায় দান সেই সময়কার সবচেয়ে বিতর্কিত ও ঐতিহাসিক রায় বলেই মনে করা হয়।
অযোধ্যার সেই রাম মন্দির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যে পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বর্তমানে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মামলায় অপর এক বিচারপতি পি এস নরসিমাও যুক্ত ছিলেন রাম মন্দিরের মামলায়। সেই সময় হিন্দু পক্ষের আইনজীবী হিসেবে লড়াই করেন তিনি। ফলে রাম মন্দির মামলা ও জ্ঞানবাপী মামলা বর্তমানে মিলেমিশে একাকার হওয়ায় নতুন এক বিতর্কের জন্ম হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।