জাতপাতের বেড়া ভেঙ্গে হিন্দু বাড়িতে রোজার নিয়ম ভঙ্গ করলেন দুই কাশ্মীরি মুসলিম যুবক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান (Muslim)’- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই বিখ্যাত উদ্ধৃতি আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন বর্ধমান (Burdwan) শহরের প্রাক্তন মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী রাইমনি দাস। নিজের বাড়িতেই দুই কাশ্মীরি যুবকের জন্য রোজা রাখার এবং নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। সাম্পরদায়িকতার বিভেদ ভুলে তিনি বললেন, বাংলায় কোন জাতপাতের ভেদাভেদ নেই।

aaaaaaaaaaaaaaaaa

বর্ধমান শহরের ভাতছালার চন্ডীতলার বাসিন্দা প্রাক্তন মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী রাইমনি দাসের এলাকায় প্রতি বছর কাশ্মীর থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ী পোশাক বিক্রি করতে আসেন। তারা বছরের নভেম্বর থেকে এপ্রিল অবধি সেখানেই থাকেন। তাঁদের মধ্যে আবার কয়েকজন রাইমনি দাসের বাড়িতেই ভাড়া ছিলেন। কিন্তু এবার মহামারি করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে লকডাউন জারী হওয়ায় তারা আর বাড়ি ফিরতে পারেন না। কিন্তু এদিকে আবার রোজার সময় হয়ে যাচ্ছে, সব মসজিদও বন্ধ। যার ফলে বিপদের সম্মুখীন হয় তারা।

এই সময় রাইমনি দাসের স্বামী পল্লব দাস বাবু তাঁদের সমস্যার কথা বুঝতে পেরে, তাঁদের পাশে দাঁড়ান। ওই দুই কাশ্মীরি যুবক এহমত ভাই এবং মঞ্জুর ভাইকে চিন্তা মুক্ত করে বলেন, তাঁর বাড়িতেই তাঁদের ব্রত পালন করতে। দাস পরিবারের সহযোগিতায় ওই দুই মুসলিম যুবক তাঁদের রমজানের রোজা রাখে। রবিবার দাস পরিবারের সাহায্যে তারা তাঁদের ব্রত পালন করে, সঠিক স্থানে নামাজ পড়ে, ফল মিষ্টি আহার সহযোগে রোজা পালন করেন।

bbbbbbbbbbbbbb

এই দুই যুবক ভাবতেই পারেননি যে, এই দাস পরিবারের সহাওতায় তারা এবারে তাঁদের রোজা পালন করতে পারবেন। সাধারণ এই ধরণের ঘটনার কথা খুবই বিরল। তবে বরাবরের মতো বর্ধমান বাসিন্দারা সাম্প্রদায়িকতার ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, জাতপাতের বেড়া ভেঙ্গে তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসল।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর