বাংলাহান্ট ডেস্ক : দলবদলুদের ভালো চোখে দেখেনি উত্তরপ্রদেশ। ফলে বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিলেও গদি বাঁচাতে পারলেন না যোগীর ২ প্রাক্তন মন্ত্রী। যোগীর মন্ত্রীসভার ৩ মন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে অখিলেশ যাদবের দলে গেলেও বহু কষ্টে আসন ধরে রাখতে পেরেছেন মাত্র একজনই।
নির্বাচনের ঘোষণার আগেই বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যান স্বামী প্রসাদ মৌর্য। নিজের পদরৌনা কেন্দ্রের বদলে ফাজিলনগর থেকে লড়েছিলেন তিনি। মৌর্যকে ‘রাজনীতির আবহবিদ’ বলা হলেও, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির হাওয়া বুঝতে ভুল করেছিলেন তিনি। ফলে মাসুল দিতে হল হাতে নাতেই। দলবদলু এই নেতাকে প্রত্যাখ্যানই করেছে সে রাজ্যের মানুষ।
বিজেপি ছাড়ার সময় এই নেতা বলেছিলেন, ‘নাগ সদৃশ বিজেপিকে তাড়াতে একমাত্র বেজি সদৃশ সমাজবাদী পার্টিই পারে।’ তবে হারের পর জনতার রায় স্বীকার করে বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দনই জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে আয়ুষ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন অপর আর এক মন্ত্রী ধরম সিং সাইনি। সাহারানপুরের নাকুদ থেকে নির্বাচনে হেরেছেন তিনিও। তবে বনমন্ত্রীর পদত্যাগী দারা সিং চৌহান কোনও ক্রমে বাঁচাতে পেরেছেন নিজের গদি। মধুবনের পরিবর্তে মৌ এর ঘোসি থেকে ভোট যুদ্ধে লড়তে নেমেছিলেন তিনি এবার। তবে সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েও কূল বাঁচাতে পারেননি মূলায়ম সিং যাদবের ঘণিষ্ঠ বন্ধু হরিওম যাদব। সিরসাগঞ্জ থেকে গোহারা হেরেছেন তিনিও।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। সে রাজ্যের ৪০৩ টি আসনের মধ্যে ২৫৫ টিই এসেছে বিজেপির দখলে। অন্যদিকে ১১১ টি আসন নিয়ে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থানে সমাজবাদী পার্টি। এবারের নির্বাচনে যে উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় মুছে গিয়েছে কংগ্রেস তা বলাই বাহুল্য। মাত্র ২টি আসনে টিমটিম করে টিকে রয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। উল্লেখ্য, গোরক্ষপুর থেকে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। একই সঙ্গে নয়ডা কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতে ভারতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন রাজনাথ সিং এর ছেলে পঙ্কজ সিং।