বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গণতন্ত্র দিবসে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে দিল্লীতে হওয়া হাঙ্গামার পর কৃষক আন্দোলনে ব্যাপক ভাবে প্রভাব পড়েছে। এবার কৃষক সংগঠন গুলোর মধ্যেই ফাটল ধরছে। একদিকে রাকেশ টিকাইতের মত কৃষকরা যেখানে আন্দোলন জারি রাখার কথা জানাচ্ছে। তেমনই আরেকদিকে, একে একে কৃষক সংগঠন গুলো এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নিচ্ছে। এমনকি কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের ভাই নরেশ টিকাইত ও এখন এই আন্দোলন শেষ করার কথা বলছেন। আর এর মধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, দুটি অন্য সংগঠন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দুমাস ধরে চলা আন্দোলন সমাপ্ত করার ঘোষণা করেছে।
BKU (একতা) এর সভাপতি হুকুম চন্দ্র শর্মা আর BKU (লোকশক্তি) এর সভাপতি ঠাকুর শেওরাজ ভাটি আজ কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সাথে সাক্ষাৎ করার পর এই আন্দোলন থেকে আলাদা হওয়ার ঘোষণা করেন। কৃষক নেতা ভাটি বলেন, প্রায় ৬০ দিন ধরে আমরা দলিত প্রেরণা স্থলে ধরনা দিচ্ছিলাম। আমরা সরকারের প্রোটোকল অনুযায়ী ধরনা দিচ্ছিলাম। কিন্তু এখন এই আন্দোলন দিশাহিন হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু সমাজ বিরোধী লাল কেল্লায় ঝাণ্ডা তুলেছে, যার ফলে দেশের মানুষের ভাবাঘেতে আঘাত লেগেছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর সাথে সমস্ত সমস্যা নিয়ে কথা হয়েছে, আগামী দিনেও সরকারের সাথে কথাবার্তা চলবে। শেওরাজ ভাটি কৃষক বলেন, আমরা আক্রমনাত্বক না। ৬০ দিন ধরে মানুষ ধরনায় বসে থাকলে এরকম হয়ে যায়। কৃষি বিলে কিছু ভুল আছে, সেটা সরকারের সাথে বসে আলোচনা করা হবে।
জানিয়ে রাখি, গতকালও দুটি কৃষক সংগঠন এই আন্দোলন শেষ করার ঘোষণা করেছিল।