বিজেপির দুই সাংসদকে আটক করলো পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ

ভারতবর্ষের লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল লোকসভাতে পাস হওয়ার পর, রাজ্যসভাতে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নাগরিকত্ব বিল পাস হয় এবং অবশেষে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করে। তারপর দিন থেকেই বাংলা জুঁড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর-দক্ষিণ২৪পরগনা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সম্পত্তি ব্যাপক ভাবে নষ্ট করা হয়।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে তাহলে তিনদিন ধরে যে তাণ্ডব চলেছে তখন কেন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল। তখন কেন চুপ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি, দাবি করেছে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে ব্যবহার করছে তৃনমুল।

কিন্তু তৃণমূল তা মানতে নারাজ তারা দাবি করেছে তারা কোন রকম পা দিতে চায়না। তারা রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। রাজ্যপালের কাছে তারা একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে এবং কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছে।

গতকাল সেই পরিপ্রেক্ষিতে কুচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক, সাংসদ খগেন মুর্মু রেল স্টেশন দেখতে যায়। তখন ই তাদের আটক করেছে পুলিশ এবং প্রায় এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় থানায়। এরপর তাদেরকে ছাড়া হয় কি কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হলো? পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে তারা যে রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসছিলেন সেখানে কোন অনুমতি ছিল না এবং রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কিন্তু কুচবিহারের সংসদ তা মানতে নারাজ,তারা দাবি করেছে রাজ্য সরকার যেভাবে পুলিশ লেলিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে,তা ভালো হলো না। আগামীদিন তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে।

বিজেপি তারা দাবি করেছে যেভাবে তাদের সাংসদ কে গেপ্তার করা হলো, পুলিশের শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। এছাড়া গতকাল মুর্শিদাবাদে কৈলাস জি ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মুর্শিদাবাদ স্টেশন পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন এবং একাধিক হিন্দুদের বাড়িতে আক্রান্ত হয়েছিল তাদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাদের আটকানো হয় বলে দাবি করেছেন সৌমিত্র খাঁ। একাধিক জায়গায় পুলিশ বিজেপি কর্মীদের এবং নেতাদের বাধা দিয়েছেন বলে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ মালদায় গিয়ে কি হবে, সেখানে যদি বিজেপি সাংসদ যায় তাহলে আর উত্তেজনা বাড়বে বলে দাবী করেছে তৃনমুল।

সম্পর্কিত খবর