বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের পতাকা টাঙিয়ে বনগাঁয় (Bongaon) গ্রেফতার হয়েছিলেন সনাতনী একতা মঞ্চের দুই সদস্য। আকাইপুর রেলস্টেশনের কাছে একটি শৌচালয়ে পাকিস্তানের পতাকা লাগানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন তাঁরা। বৃহস্পতিবার তাঁদের বনগাঁ আদালতে তোলা হলে জামিন দেন বিচারক। তারপরেই কার্যত ‘হিরো’র সম্মান দিয়ে ফুল মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় দুজনকে।
পাকিস্তানের পতাকা টাঙানোর অভিযোগে গ্রেফতার বনগাঁয় (Bongaon)
বনগাঁর আকাইপুর স্টে অভিযোগ উঠেছিল চন্দন মালাকার (৩০) এবং প্রজ্ঞাজিৎ মণ্ডল (৪৫) এর বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে তাঁদের গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বনগাঁ (Bongaon) পুলিশের তরফে জানানো হয়, ধৃত চন্দন মালাকার এবং প্রজ্ঞাজিৎ মণ্ডল স্বীকার করেছেন, ওই দেওয়ালে ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ এবং পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লেখার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। এলাকায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বলে নাকি জানিয়েছেন তাঁরা।
জামিন মঞ্জুর দুজনেরই: পুলিশের তরফে পোস্টে লেখা হয়েছিল, এই ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে। যারাই হিংসা, অশান্তি ছড়ানোর ছক কষবে তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয় দুই অভিtযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, দুই অভিযুক্তকে তাদের হেফাজতে রেখে এই ঘটনার নেপথ্যে আর কারা আছে তাদের নাম বের করা হবে। কিন্তু আদালত দুজনেরই জামিন মঞ্জুর করে দেয়।
বরণ করা হয় দুজনকে: জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে সরকারের তরফে কোনো আইনজীবী ছিল না। ধৃত দুজনের হয়ে সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবী। শেষমেশ তাঁদের জামিন দেন বিচারক। আদালত কক্ষ থেকে বাইরে বোরোতেই চন্দন এবং প্রজ্ঞাজিৎকে ঘিরে ওঠে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান। তাঁদের ফুলের মালা পরিয়ে বরণও করে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে অর্জুন-যোগ? তৃণমূলের ‘দলবদলু’দের মুখোশ খোলার হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের
স্থানীয় সূত্রে খবর, আকাইপুর রেলস্টেশনের পাশে শৌচালয়ের দেওয়ালে, টিকিট কাউন্টারে বেশ কয়েকটি জায়গায় পাকিস্তানের পতাকা টাঙানো ছিল। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা গ্রেফতার করে চন্দন এবং প্রজ্ঞাজিৎকে। এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। দুজন হিন্দুকে মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ জামিন পেয়ে গেলেন তাঁরা।