পরকীয়ার টানে চাকরি থেকে ইস্তফা! একসঙ্গে পালালেন মেদিনীপুরের একই স্কুলের শিক্ষিক-শিক্ষিকা!

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যার জেরে একধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক (School Teacher) ও শিক্ষাকর্মী। সুপ্রিম-রায়ের জেরে চাকরিহারাদের পরিবারে এখন হাহাকার। এই আবহে সামনে আসছে অবাক করে দেওয়া খবর! শোনা যাচ্ছে, পরকীয়ার টানে চাকরি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন মেদিনীপুরের এক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা।

২৭ মার্চ দু’জনে ইস্তফা দেন বলে খবর (School Teacher)!

ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন গোপালপুর গ্রামের একটি স্কুলে। দীর্ঘদিন ধরেই নাকি ওই শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে গত ২৮ মার্চ থেকে দু’জনে স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। কোনও ছুটির আবেদনও করেননি। বিদ্যালয়ের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এরপর জানা যায়, ২৭ তারিখেই ইস্তফা দিয়েছেন দু’জনে।

গত ২৭ মার্চ স্কুল পরিদর্শকের অফিসে গিয়ে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা (School Teacher) চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল শিক্ষা আধিকারিকের দফতরে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘স্ক্যানারে’ মমতার মন্ত্রীসভা! সবার বিরুদ্ধে ছিল তদন্তের নির্দেশ, কিছুক্ষণ পরই শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০০৬ সালে চাকরি পেয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। তাঁর বয়স ৪০ বছরেরও বেশি। ওই শিক্ষিকার একটি কলেজ পড়ুয়া ছেলেও রয়েছে। অন্যদিকে ২০০৭ সালে চাকরি পান ওই শিক্ষক। তিনি ওই শিক্ষিকার চেয়ে বয়সে অনেকটাই ছোট বলে খবর।

ঘাটালের কুশপাতা ১৭ নং ওয়ার্ড নিবাসী ওই শিক্ষক এক কন্যা সন্তানের (৭) পিতা। অসুস্থতার কারণে তাঁর স্ত্রী বর্তমানে মেদিনীপুর শহরে বাপের বাড়িতে থাকছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বছর তিনেক আগে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের মাধ্যমে ওই শিক্ষক গোপালপুর গ্রামের ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন। এরপরেই ওই শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে বলে খবর।

School teacher resignation

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের টিআইসি উপস্থিত না থাকলে গোপনে প্রেম করতেন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা। অফিস রুমেও একত্রে সময় কাটাতেন বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই নিয়ে তাঁদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। গ্রামের মানুষও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়েনি।

অবশেষে গত ২৭ মার্চ স্কুল পরিদর্শকের অফিসে গিয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা (Resignation) দেন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা। এদিকে জানা যাচ্ছে, খোঁজ না মেলায় দু’জনের পরিবারের তরফ থেকে ঘাটাল থানায় আলাদা আলাদা নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে দু’জন সম্পর্কে ছিলেন। সেই ভালোবাসার টানেই একসঙ্গে পালিয়েছেন!

চাকরি বাতিলের জেরে রাজ্যজুড়ে যখন হাহাকার তখন সামনে এল পরকীয়ার টানে শিক্ষক-শিক্ষিকার (School Teacher) কাজ ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর। বহুদিন ধরেই দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে একই দিনে কাজ ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন তাঁরা।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X