বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইকে দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষকদের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সেই তালিকা জমাও করে ইডি (ED)। তবে সেই তালিকা নিয়েই গন্ডগোল।
ইডির পেশ করা তালিকায় ‘রজক’ এবং ‘শেখ’ পদবিধারী ওই দুই প্রাথমিক শিক্ষকের নাম রয়েছে। দুজনাই ২০২০ সালে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Council) এই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছে, তাদের কাছে এই রকম কোনও শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য নেই।
সূত্রের খবর, ইডির জমা দেওয়া তালিকায় মোট ২২০৭ জন শিক্ষকের নাম আছে। তার মধ্যে ১৮০৪ জন ২০১৬-১৭ সালে নিযুক্ত। ৬৩ জন ২০১৬-১৭ সালের নিয়োগে অতিরিক্ত প্যানেল নিযুক্ত। ২৫০ জন ২০২০ সালে নিযুক্ত। তবে পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ২ জন শিক্ষক ছাড়া ২০২০ সালে নিযুক্ত ২৪৮ জন ঠিকই রয়েছে। তাহলে ওই দুজন গেল কোথায়? এই প্রশ্নেই এখন শোরগোল।
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করবে আবহাওয়া! তুমুল বর্ষণে ছারখার হবে দক্ষিণবঙ্গের এই ৪ জেলা
আবার অন্যদিকে কিসের ওপর ভিত্তি করে এই শিক্ষকদের তালিকা ইডি তৈরী করেছে সেই নিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পর্ষদ। অন্যদিকে ৯৬ জন শিক্ষকের একটি তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই শিক্ষকেরা ২০১৪ সালের টেটে পাশই করেননি। টেট পাশ না করেই শিক্ষকের চাকরি করে চলেছেন।
এখানেই শেষ নয়, গোয়েন্দাদের দাবি এদের মধ্যে চারজন শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে চাকরিতে ঢুকেছেন। গতকাল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই প্রসঙ্গ উঠলে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। শোরগোল পড়ে যায় হাইকোর্টে বিচারপতি সিনহার এজলাসে। ইডির তালিকায় কিছুটা পাল্টা দিলেও সিবিআই এর তালিকা দেখে রীতিমতো ভিরমি খাচ্ছে পর্ষদ। যদিও পর্ষদ জানিয়েছে ওই ৯৬ জনকে তাদের নথি যাচাইয়ের জন্য তলব করা হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টেট পাশের নথি নিয়ে পর্ষদের অফিসারের কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের খেল! কিছুক্ষণেই তোলপাড় হবে দক্ষিণবঙ্গের এই ৭ জেলা, ভয়ঙ্কর আপডেট
আবার অন্যদিকে ৪৬ জন অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদেরও একটি তালিকা সামনে এনেছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, এই শিক্ষকরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত। পর্ষদ তরফে ইতিমধ্যেই ওই ৪৬ জন প্রাথমিক শিক্ষককেও ডিপিএসসি মারফত চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদেরও ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের ওই ৪৬ জনকে নিজেদের প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট নিয়ে পর্ষদের অফিসারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।