বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের (Bangladesh) অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই সামনে আসতে শুরু করেছিল বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায় সেই সময় বাংলাদেশের জেল থেকে শতাধিক জঙ্গীকে (Terrorist) ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেইসব জঙ্গি ভারতে (India) আসার পর এদেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাদের নাশকতামূলক কাজকর্ম করার জন্য জাল বিস্তার করে চলেছে।
ধৃত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ২ জঙ্গী
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসাম পুলিশ এই জঙ্গি কার্যকলাপ কড়া হাতে দমন করতে ১৭ থেকে ১৮ ডিসেম্বর আসাম, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট আটজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যেই দুজন জঙ্গি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা। দুই জঙ্গির মধ্যে মহম্মদ আব্বাস আলি (২৯) হলেন পেশায় মোটর পাম্পের মেকানিক আর মণিরুল শেখ (৪৮) চালাতেন মাদ্রাসা। ইতিমধ্যেই তিনি এলাকার ১০ থেকে ১২ জন বাচ্চাদের নিয়ে একটি মাদ্রাসা চালু করেছিলেন।
এই আব্বাস ২০১৮ সালে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত ছিল। দু’বছর জেলও খেটেছিল আব্বাস। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিআই বিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালিয়েই তাদের গ্রেফতার করেছে। এই দু’জনকে গ্রেফতার করার পর থেকেই একে একে তাদের সমস্ত পরিকল্পনার ছক সামনে আসতে শুরু করেছে।
যা থেকে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। এপ্রসঙ্গে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানিয়েছেন আসাম পুলিশের এসটিএফ এবং গোয়েন্দা দপ্তরের সাহায্যে জানা গিয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এবিটির স্লিপার সেল সক্রিয় করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদের চাই হিসেবে পাঠানো হয় বাংলাদেশের মহম্মদ শাদ রাজিকে।
এই শাদ রাজি প্রথমে আশ্রয় নিয়েছিল কেরালাতে। কোন বৈধ নথি ছাড়াই সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। কেরালা থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এই শাদ। মূলত এই জঙ্গি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলের উদ্দেশ্য ছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) এবং আলিপুরদুয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয় যুবকদের টেনে আনা। আর তাদের দিয়ে সংগঠনের নাশকতামূলক কাজকর্ম করানো।
আরও পড়ুন: অভিষেকের নাম করে দেদার তোলাবাজির অভিযোগ! গ্রেপ্তার পোস্তার যুব তৃণমূল নেতা
সূত্রের খবর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের থেকে তল্লাশি চালিয়ে বই, মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ এবং কিছু নকল পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। ওই দুই জঙ্গির থেকে উদ্ধার হওয়া পেনড্রাইভ থেকে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্য রয়েছে। ওই জঙ্গি সংগঠনে নতুন করে রিক্রুটমেন্টের চেষ্টা চালাচ্ছিল তারা। পরিকল্পনা ছিল ছোট ও মাঝারি নেতাদের খুন করার। সবথেকে উদ্বেগের বিষয় ছিল শিলিগুড়ি কোরিডোরকে অশান্ত করা।
মূলত বাংলা এবং আসামে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করাই ছিল এদের মূল লক্ষ্য। তদন্ত করে জানা গিয়েছে এবিটির এই মডেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরএসএসের নেতাদের চিহ্নিত করে হামলা করা এবং দাঙ্গা বাঁধিয়ে অশান্তি লাগানো। প্রসঙ্গত ওই একই দিনে, আসাম থেকে ৫ জন, কেরালা থেকে ১ জন জঙ্গিকে অর্থ্যাৎ মোট ৮ জঙ্গিকে গ্রেফতার হয়েছে।