বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) গবেষণার নাম করে নজরদারি চালানোর লক্ষ্যে চিনা (China) জাহাজের আনাগোনা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মার্চ মাসেই ভারত মহাসাগরে চার-চারটি চিনা যুদ্ধজাহাজ পরিলক্ষিত হয়েছিল। এমতাবস্থায়, আশঙ্কা করা হচ্ছে যে মূলত গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই ওই জাহাজগুলিকে পাঠানো হয়েছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বৃদ্ধি পায় নয়াদিল্লির।
শুধু তাই নয়, তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে সেগুলির মধ্যে দু’টি চিনা জাহাজ শ্রীলঙ্কার খুব কাছেই অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতের অনুরোধ উপেক্ষা করেই সেগুলিকে ওই পড়শি দেশে নোঙর করার অনুমতি দেওয়া হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই। পাশাপাশি, সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি। তবে এবার, চিনকে রুখতে আরও শক্তি বৃদ্ধি করা হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর। জানা গিয়েছে যে এবার, রাশিয়ার তৈরি দু’টি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ চলতি বছরেই ভারতে আসবে। যেগুলির নাম হল “তুশীল” ও “তমাল”।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই যুদ্ধ জাহাজগুলি অনেক আগেই ভারতে আসার কথা থাকলেও সেক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ, এই লড়াইয়ের আবহে যুদ্ধ জাহাজগুলির তৈরির কাজ থমকে গিয়েছিল। যদিও, এবার সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতে আসতে চলেছে রণতরীগুলি। ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌসেনার চিফ অফ মেটেরিয়েল ডিরেক্টরেটের একটি দল জাহাজ তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে রাশিয়া গিয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দিতে হবেনা পরীক্ষা! ইন্টারভিউর মাধ্যমে Axis Bank-এ নিয়োগ, এভাবে করুন আবেদন
এমতাবস্থায়, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নৌসেনার আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে “তুশীল নামের যুদ্ধজাহাজটির নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রথম রণতরীটি ইতিমধ্যেই জলেও নেমে গিয়েছে। তাতে বিভিন্ন পরীক্ষা চালানো হচ্ছে রুশ সেনাবাহিনীর তরফে। এমন পরিস্থিতিতে আশা করা হচ্ছে যে, আগামী অগাস্ট এবং ডিসেম্বর মাসে INS তুশীল ও INS তমাল আমাদের হাতে আসবে।”
আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার উইকেটরক্ষক খুঁজতে কালঘাম ছুটছে নির্বাচকদের, কোন প্লেয়ারের খুলবে ভাগ্য?
এদিকে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তশালী এবং উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে রাশিয়ার সহযোগিতায় দেশের মাটিতে আরও দু’টি রণতরী তৈরি হচ্ছে। এমতাবস্থায়, ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে, দেশের জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডে এই জাহাজ তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। পাশাপাশি, শীঘ্রই সেগুলিকে জলে নামিয়ে পরীক্ষা শুরু হবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়াও, ২০২৬ সালের মধ্যে ওই ২ টি যুদ্ধজাহাজও নৌসেনার বহরে যুক্ত হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।