বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবারে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) ফলাফল ঘোষণার পরেই সরকার গঠনের জন্য এনডিএ-র শরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। পাশাপাশি, মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এমতাবস্থায়, রাজ্যের নির্বাচিত প্রার্থীদের কারোর মন্ত্রিপদ জুটবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছিল তুমুল জল্পনা। উঠে এসেছিল একাধিক নামও। তবে, রবিবার সন্ধ্যেতেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানা গেল যে বাংলা (West Bengal) থেকে একজন নয়, বরং দু’জনকে মন্ত্রী করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রবিবার সন্ধ্যায় রাইসিনা হিলসে শপথ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ ৭১ জন মন্ত্রী। যেই অনুষ্ঠান কিছুক্ষণ আগেই শেষ হয়েছে। এমতাবস্থায়, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। অর্থাৎ, মোদীর মন্ত্রিসভায় তাঁরা যে স্থান পাচ্ছেন এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
তবে জানিয়ে রাখি যে, সুকান্ত এবং শান্তনু কেউই পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন না। অর্থাৎ, প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই শপথ গ্রহণ করেছেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, তাঁরা কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব নিতে চলেছেন সেই বিষয়ে এখনও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য সামনে আসেনি। এদিকে, সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে আরেকটি জল্পনা।
আরও পড়ুন: পরপর তিনবার! গুজরাট থেকে রাজনৈতিক সফর শুরু করা মোদী গড়লেন ইতিহাস, হাসিল করলেন একাধিক রেকর্ড
কারণ, বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি একের বেশি পদে থাকতে পারেন না। তাই সুকান্ত যেহেতু মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন সেক্ষেত্রে তিনি আর রাজ্য সভাপতি থাকবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওই পদে কে আসবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রশ্নের উদ্রেক।
আরও পড়ুন: মোদী ৩.০! তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নমো, আর কে কে হলেন মন্ত্রী? দেখুন তালিকা
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে মোদীর মন্ত্রিসভায় অন্যতম সদস্য ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। যদিও, এবারের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন। ফলে, উত্তরবঙ্গ থেকে কাকে মন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। যদিও, এবার সুকান্ত মজুমদারকে মন্ত্রী করেই উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুর এর আগেও মন্ত্রী হয়েছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তিনি মতুয়া ভোট ধরে রাখতে পেরেছেন। আর সেই কারণেই শান্তনু ফের মন্ত্রিত্ব পেলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।