বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফুঁসছে সাগর! ‘সুপার টাইফুন’-এ (Super Typhoon) পরিণত হয়েছে মাওয়ার। এই মুহুর্তে তীব্র বেগে ফিলিপিন্সের (Philippines) দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। টাইফুনের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি এবং প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইলেও গুয়ামে আপাতত বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি। কোনও প্রাণহানি হয়নি। তবে টাইফুনের আঘাতে গুয়ামের অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় রাত ন’টা নাগাদ গুয়ামে ‘ল্যান্ডফল’ হয়েছে মাওয়ারের। তার জেরে প্রবল বৃষ্টি হয় পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে। ঘণ্টায় ২৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। রীতিমতো তাণ্ডব চলে গুয়ামের বিভিন্ন প্রান্তে। উপড়ে যায় একাধিক গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি।
ঝড়ের আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই ভূখণ্ড। একাধিক ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখা গিয়েছে যে গাছ উপড়ে পড়ে আছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে গুয়ামের একাধিক রাস্তা।
গুয়ামের বিদ্যুৎ সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে যে ৫২,০০০ বাড়ি এবং কারখানা-দোকান আছে, সেগুলির মধ্যে মেরেকেটে ১,০০০ বাড়ি বা দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। তবে গুয়ামে যে ১৭,০০০ মানুষ বাস করেন, তাঁদের কারও প্রাণহানি হয়নি। গুয়ামের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১,০০০ জন থাকছেন।
তারইমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গুয়ামে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর কাজ চলছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল, জল সংক্রান্ত পরিকাঠামোয় যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানো যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপর ধাপে-ধাপে অন্যত্র যাতে বিদ্যুৎ ফিরে আসে, সেই চেষ্টা চলছে বলে গুয়ামের বিদ্যুৎ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
ফিলিপিন্সের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, টাইফুনের কেন্দ্রে আপাতত ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ২৩০ কিমিতে পৌঁছে যাচ্ছে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে মাওয়ার। যা গুয়াম পেরিয়ে যাওয়ার পর সাময়িকভাবে দুর্বল হলেও আপাতত যে গতিবেগ আছে, তাতে যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।