বালাহান্ট ডেস্ক : রাজস্থানে উদয়পুরে সাধারণ এক দরজিকে কানহাইয়া লালকে নৃশংস ভাবে মাথা কেটে হত্যা করা হলো। সেই হত্যার ধরন দেখে চমকে ওঠে গোটা দেশ। নৃশংস হত্যাকাণ্ড (Udaipur Beheaded Case) ঘটানোর পর হত্যাকারীদের নারকীয় উল্লাস বুকে কাঁপন ধরিয়েছে ভারতবাসীর। কানহাইয়া লালের অমানবিক হত্যাকাণ্ডে ফুঁসে উঠেছে রিয়াজের পরিবারও। মহম্মদ রিয়াজের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করা হলো তার পরিবারের তরফ থেকেই।
কিরকম ছিল রিয়াজের সঙ্গে তার পরিবারের সম্পর্ক?
জানা যাচ্ছে, রিয়াজেরা মোট পাঁচ ভাই। সাংবাদনাধ্যমকে তার চার ভাই একযোগে জানান, কানহাইয়া লালকে হত্যার জন্য রিয়াজের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হয়। মহম্মদ রিয়াজের পরিবার থাকে ভিলওয়ারায়। তাঁরা জানান বেশ কিছু বছর আগে রিয়াজ ভিলওয়ারা ছেড়ে উদয়পুর চলে যায়। সেখানে নিজের স্ত্রীর বাড়িতেই থাকতে শুরু করে সে। নিজের ভাইদের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ রাখত না সে। রিয়াজের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ভাই জানায়, মাস খানেক আগে দাদার সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়। তখন রিয়াজের নাকি মন খারাপ ছিল। ছোট ভাইকে কাছের বাস স্ট্যাণ্ডে দেখা করার জন্যও বলে সে। কিন্তু ভাই বাস স্ট্যাণ্ডে গেলেও দেখা করতে আসেনি রিয়াজ। এটা তার সঙ্গে পরিবারের শেষ কথা। রিয়াজের পরিবার জানায়, তারা আতঙ্কিত। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছে তারা।
পুলিশ চাইলে কি বাঁচাতে পারতো কানহাইয়া লালকে?
তবে পুরো ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠছে উদয়পুর পুলিশও। জানা যাচ্ছে, একাধিক বার পুলিশের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিলেন কানহাইয়া লাল। কিন্তু পুলিশ তাঁর কথায় কর্ণপাত করেনি। জানা যাচ্ছে মাস খানেক আগে ফেসবুকে আপত্তিজনক পোস্ট করায় গ্রেফতার হন কানহাইয়া লাল। আর শেষ দু’সপ্তাহ ধরে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি পান তিনি। পুলিশকে চিঠি লিখেও জানান সেই কথা। আবেদন করেন সুরক্ষাও। কিন্তু তাঁর আবেদনকে এড়িয়ে যায় প্রশাসন। প্রাণ ভয়ে প্রায় এক সপ্তাহ দোকান বন্ধ রাখেন তিনি। তারপর মঙ্গলবারই দোকান খোলেন। মহম্মদ রিয়াজ এবং মহম্দ গোশ দোকানে হাজির হন পোষাক তৈরি করবার অছিলায়। তারপর হঠাৎই কানহাইয়া লালকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে দুজন এবং নৃশংস ভাবে কেটে নেয় তাঁর মাথা।