বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ডকে বলেছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) আর ওনার পুত্র আদিত্য ঠাকরের (Aditya Thackeray) সাথে রাষ্ট্রবাদী কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া সুলের নির্বাচনী হলফনামার তদন্ত করতে। প্রসঙ্গত, এদের দুজনের বিরুদ্ধে ভুয়ো এফিডেভিট ফাইল করার অভিযোগ উঠেছে। সুত্র অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ডকে (CBDT) বলা হয়েছে যে, এই তিনজন দ্বারা নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া সম্পত্তির সত্য উদঘাটন করুক।
নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক জানান, এই অভিযোগ এক মাস আগেই দায়ের হয়েছে। এরপর এ বিষয়ে একটি অনুস্মারকও প্রেরণ করা হয়েছিল। জানিয়ে দিই, নির্বাচনী হলফনামায় একজন প্রার্থী নিজের অধিকতম সম্পত্তি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য দেন। ২০১৩ সালেই নির্বাচন কমিশন প্রতিটি প্রার্থীর তরফ থেকে দেওয়া লিখিত তথ্যের তদন্ত CBDT কে দিয়ে করানোর নিয়ম বানিয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য CBDT এর রিপোর্টের অপেক্ষা করছে। যদি নেতাদের উপর আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে যায়, তাহলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ এ ধারা অনুযায়ী CBDT ওনাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবে। এই ধারায় অধিকতম ৬ মাসের জেল অথবা জরিমানা, অথবা দুটোই হতে পারে।
উদ্ধব আর আদিত্য ঠাকরে ছাড়াও শরদ পাওয়ারের কন্যা তথা এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এবং গুজরাটের বিধায়ক নাথাভাই এ প্যাটেলের বিরুদ্ধেও নির্বাচনী হলফনামায় সম্পত্তির ভুয়ো তথ্য দেওয়া হয়েছে।
জানিয়ে দিই, অভিযোগকারী নিজের কথা প্রমাণ করার জন্য অনেক প্রমাণ নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করেছে। আরেকদিকে নির্বাচন কমিশন এই মামলার তদন্তের জন্য CBDT কে দায়িত্ব দিয়েছে। এবার CBDT এর তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন আগামী পদক্ষেপ নেবে। আর তদন্তে যদি দোষী পাওয়া যায়, তাহলে এই নেতাদের সমস্যা বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।