বাংলা হান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) রাজনৈতিক নাটকের তৃতীয় মরশুম চলছে। আর এই তৃতীয় মরশুমে রীতিমত রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসে। বলা ভালো ভোটের মুখেই ঘোট পাকিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এইদিন এমভিএ নেতাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দল শিবশেনা (Shivsena) ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টিতে ইলেকশন কো-অর্ডিনেটর নিযুক্ত করেছে।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, উদ্ধব সেনার এই পদক্ষেপ মূলত মহারাষ্ট্রের ১৮টি লোকসভা আসনের দাবি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিবসেনা (ইউটিবি) সাউথ মুম্বাই, মুম্বাই দক্ষিণ মধ্য, মুম্বাই উত্তর পশ্চিম এবং মুম্বাই উত্তর পূর্ব লোকসভা আসনের জন্য তার ইলেকশন কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করেছে। যা থেকে স্পষ্ট যে, উদ্ধব ঠাকরে তার সহযোগী এনসিপির (শরদ পাওয়ার) জন্য মুম্বাইতে মাত্র ২টি আসন ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসন ভাগাভাগি নিয়ে এমভিএ-র সর্বশেষ বৈঠক হয় ২ ফেব্রুয়ারি। এর পরেই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চভান কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এই ঘটনার পর এমভিএ-তে আসন বন্টণ নিয়ে আর কোনও নয়া আলোচনা হয়নি। তার বদলে প্রকাশ আম্বেদকর একটি কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের (সিএমপি) আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আসন বন্টণ নিয়ে আলোচনার জন্য পরবর্তী বৈঠক ধার্য করা হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি।
এখানে বলে রাখা ভালো, এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে জোট বেঁধেছিল শিবসেনা। সেবার মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ২২টিতে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনা। যার মধ্যে জয়লাভ করেছিল ১৮টিতে। এরপর ২০২২ সালের জুন মাসে, ৪০ জন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে উদ্ধব ঠাকরের বিরোধীতা শুরু করে।
এরপর দলের উপর দাবি নিয়ে উদ্ধব গোষ্ঠী এবং শিন্দে গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন একনাথ শিন্ড দলকেই আসল শিবসেনা বলে মান্যতা দেয়। এভাবেই দলের প্রতীক ও নামের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় শিন্ডে গোষ্ঠী।