বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের উইঘুর (Uighur Muslims) নির্যাতন। চিনের (China) শিনজিয়াং প্রদেশে গুরুতরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগ সামনে এল। ওই প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে জিনপিং প্রশাসনের আগ্রাসনের অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। এবার জানা গেল, পবিত্র রমজান মাসে উইঘুররা যাতে রোজা না রাখে তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট চিনের পুলিস। লাগানো হয়েছে গুপ্তচরও।
চিনের এক পুলিস আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, চিনে গোয়েন্দাদের ‘কান’ বলা হয়। তারা সাধারণ নাগরিক, পুলিস ইত্যাদি সেজে ঘুরে বেড়ায়। এই ধরনের ‘সিক্রেট এজেন্ট’ যে অনেক রয়েছে তাঁদের দেশে সেটাও জানান তিনি। তাঁরাই নজর রাখছেন কোনও উইঘুর মুসলিম রোজা রাখছেন কিনা।
২০১৭ সাল থেকেই উইঘুর মুসলিমদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ করে জিনপিং প্রশাসন। সেই সময় থেকেই ‘পুনর্শিক্ষা’ শিবির গড়ে উইঘুরদের সংস্কৃতি, ধর্ম ও ভাষাকে ধ্বংস করার প্রয়াস করতে শুরু করে চিন। গত বছর চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ওই প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের (Uyghur) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগের কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করেছে বেজিং।
এদিকে গত বছর প্রকাশিত রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। শুধু তাই নয়, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাঁদের।
বর্তমানে উইঘুররা মূলত চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলে বসবাস করে। উইঘুররা এই অঞ্চলের সরকারিভাবে স্বীকৃত ৫৬টি নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অন্যতম। এখানকার ৮০% উইঘুর অঞ্চলের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তারিম বেসিনে বসবাস করে।