বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনে (Chaina) প্রথম দেখা দিলেও পৃথিবী ব্যাপী মহামারি সৃষ্টিকারি করোনা ভাইরাস (COVID-19) অল্প সময়ের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সমগ্র বিশ্বে এখনও অবধি এই রোগের প্রকোপে আক্রান্ত হয়েছেন আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪৫৬৪৮ এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০০৪৮। চীনের থেকে ইউরোপ এখন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই রোগের ফলে। প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এখানে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।
সম্প্রতি WHO ইউরোপকে করোনা ভাইরাসের নতুন আঁতুড় ঘর বলে ঘোষণা করেছে। ইউরোপের পর UK তে এই রোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এখানে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু UK সরকার এই ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত না হয়ে, দেশের ৬০ শতাংশ জনগণের মধ্যে এই ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তাঁদের বক্তব্য, এর ফলে এই রোগের বিষয়ে জনগণের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
UK সরকার এখন নাগরিকদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। কিন্তু তারা এই রোগের সঠিক প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে না। আর যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে, UK তেই আড়াই লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটবে। চীনে এখনও বহু মানুষ এই রোগের থেকে সেরে উঠে আবার এই রোগের প্রকোপে পড়ছেন। হসপিটাল থেকে সুস্থ বলে ছেড়ে দিলেও, তাঁদের মধ্যে এই রোগের জীবাণু উপস্থিত থাকায় বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে UK সরকার এখন ভীত হচ্ছে। কিন্তু তারা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই এখন চিন্তায় পড়েছে। যেদিকে ইউরোপ এই রোগের মোকাবিলা করার জন্য স্কুল, কলেজ, জনবহুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করছিল, তখন UK ‘হার্ড হিউমিনিটি’র রাস্তায় চলছিল।