বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুদ্ধের আগে ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি মিললেও যুদ্ধের ময়দানে পাশে পাওয়া যায়নি কাউকেই। বহুবার ন্যাটোর সাহায্য চাইলেও দরকারে মেলেনি কিছুই। এমনকি দেশের উপর নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করার আবেদন করা হলে সেটিও করেনি ন্যাটো। এরপরই ন্যাটোর উপর বিক্ষুব্ধ হয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে ইউক্রেন যুদ্ধে মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে ন্যাটো। এবার তিনি জানালেন আর এই জোটের সদস্যপদ পেতে মোটেই চায় না ইউক্রেন।
প্রথম দিন থেকেই শেষ অবধি লড়ার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন জেলেনস্কি। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বারবার কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার খানিকটা সুর যেন নরম করেন তিনি। তিনি জানান ডোনেটস্ক এবং লুগানস্ককে নিয়ে সমঝোতায় রাজি ইউক্রেন। এমনকি ন্যাটোর সদস্যপদও চান না বলেই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
সোমবার ইউক্রেনকে চারটি শর্ত দেয় রাশিয়া। বলা হয় এই চারটি শর্ত মেনে নিলেই তৎক্ষনাৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে যুদ্ধ। এই চারটি শর্ত ছিল,
১.ইউক্রেনকে রাশিয়ার উপর সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে।
২. ইউক্রেনের সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে এবং কোনও মতেই ন্যাটোর সদস্য হওয়া চলবে না।
৩.ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ বলে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৪.লুগানস্ক এবং ডোনেটস্ক প্রদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
বলাই বাহুল্য, এই সমস্ত শর্তগুলিই পক্ষান্তরে মেনে নিল ইউক্রেন। এদিন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘বহুদিন ধরেই সদস্যপদ চেয়ে আসছিলাম আমরা, কিন্তু তার উত্তর কী হতে পারে এখন তা বুঝতে পেরেছি। ন্যাটো ইউক্রেনকে নিজের সদস্য হিসেব স্বীকার করতে প্রস্তুত নয়। রাশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া এবং একাধিক বিতর্কিত বিষয় নিয়েই ভীত ওই জোট। সেই কারণেই তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন প্রেসিডেন্ট হতে চাই না যে কোনও কিছু পাওয়ার জন্য হাঁটু গেড়ে ভিক্ষা চাইবে।’
সোমবার রাশিয়ার দেওয়া প্রতিশ্রুতি ছিল ওই শর্তগুলি মানলে যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া হবে ইউক্রেনে। এখন একপ্রকার প্রায় সব শর্তই মেনে নিল ইউক্রেন। এমনকি জেলেনস্কি এবিসি কে জানিয়েছেন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করলে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি। এখানেই কি তবে শেষ ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের? এমনটাই অবশ্য মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা