বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ ১৯ তম দিনে পড়ল আজ। দুই দেশের মধ্যে এই মূহুর্তে সমঝোতার কোনও সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। কবে থামবে এই যুদ্ধ সেই উত্তর নেই কারও কাছে। এরই মধ্যে চতুর্থ দফা আলোচনায় বসতে পারে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। সেই বৈঠকও কতখানি ফলপ্রসূ হবে তা নিয়েও সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ালে আক্রান্ত হবে ন্যাটোও, এমন হুঁশিয়ারিই দিতে দেখা গেল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার সকালেই ন্যাটোকে সতর্ক করেছেন জেলেনস্কি। অবিলম্বে ইউক্রেনের হয়ে পদক্ষেপ না নিলে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিও যে আক্রান্ত হবে একটি ভিডিও বার্তায় এমনটিই বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনে আরও তীব্রতর হয়েছে রুশ হামলা। ২৪ টি শহরকে ‘টার্গেট’ করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে ১৯টিতেই জারি রেড অ্যালার্ট। যে কোনও মুহুর্তেই হতে পারে ভয়াবহ এয়ার স্ট্রাইক। ইতিমধ্যেই শহরগুলির উপর বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে রাশিয়া। একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর উচিত অবিলম্বে ইউক্রেনকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা। ন্যাটো যদি এখন ইউক্রেনের আকাশকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে তাহলে তার সদস্য দেশগুলির উপরও রুশ মিসাইল আছড়ে পড়তে দেরি হবে না।’ পোল্যান্ড সীমান্তে ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে রুশ আক্রমনের পরই এই বিবৃতি দেওয়া হয় সেদেশের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে, গত ১৯ দিন ধরে লাগাতার যুদ্ধের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রগুলিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে বিপাকে রাশিয়াও। আপাতত চীনের কাছ থেকেই সামরিক এবং আর্থিক সাহায্য যায় পুতিন সরকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই চীনকে কড়া সতর্কবার্তা শুনিয়েছে মার্কিন মুলুক। বাইডেনের সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে রাশিয়াকে সাহায্য করলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে চিনকেও। এহেন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পাশে কতখানি থাকবেন জিন পিং তা নিয়েও তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, আজ থেকেই রাশিয়ায় ইস্টগ্রাম নিষিদ্ধ করল মেটা। পুতিনের বিরুদ্ধে নিয়ম পরিবর্তনের পর এবার এই পদক্ষেপ নিল জুকারবার্গের সংস্থা। মেটার দাবি, রাশিয়া যা করছে তা ভুল। সেই কারণেই রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করছে তারাও। এখন থেকে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন না রাশিয়ার আট কোটি মানুষ।