বাংলা হান্ট ডেস্ক: আকাশের মেঘ বৃষ্টির খেলার মাঝে উকি মারা সাদা মেঘ খবর দিচ্ছে, শরৎ এসেছে। সময় আসছে বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসবের। দুর্গোৎসব। যার প্রতীক্ষায় বাঙালি অপেক্ষা করে সারা বছর। পাড়ার মোড়ে মোড়ে সেজে উঠেছে বাঁশের কাঠামো। কোথাও থিম, কোথাও বনেদিয়ানা।থিম পুজো গুলোর মধ্যে সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতা। শুরু হতে চলেছে পাড়ায় পাড়ায় সেরার লড়াই। থিমের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে অভিনব সব বার্তা এবং শিল্পীদের অভিনব সৃষ্টি। শিল্পীদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত চলছে খাটুনি। একটাই কারণ, উমা আসছে ঘরে। আর তার সাথেই আসছে উমা শারদ সন্মান ২০১৯।
উমা শারদ সন্মান, কলকাতার বুকে উমার আগমনকে ঘিরে পুজো উদ্যোক্তা দের অভিনব সব ভাবনাকে স্বীকৃতি দাওয়ার এক চেষ্টা।অনেক সময় ধরে উদ্যোক্তা এবং শিল্পীদের অনেক দিনের পরিশ্রমে মণ্ডপে প্রকাশ পায় অভিনব ভাবনা আর তাকে স্বীকৃতি দাওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই কলকাতার ২৫০ এর ওপর পুজো নাম দিয়েছে এই সেরার লড়াই তে। তবে এইটুকুই না। আছে কিছু বিশেষত্ব ও। থাকে একটি বিশেষ ইউ এস পি। এক্ষেত্রে গত বছরের একটা অভিনব ভাবনার কথা তুলে ধরা যায়। শুধু সেলিব্রিটি বা নামি মানুষদের নিয়েই এই সন্মানের যাজেস প্যানেল তৈরি হয় না। গতবার দুর্বার দের চোখের সেরা পুজোর পুরষ্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে সেরা ভাবনার মন্ডপ কে। যেখানে জাজেস প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার রেড লাইট অঞ্চলের যৌনকর্ম ও। উপেক্ষিত হয়নি তারা, সন্মানিত হয়েছে।তারা এই সন্মানের প্রাউড পার্টনার হিসেবে সন্মতিত। এ বছরের তাদের ইউ এস পি তে উঠে আসছে সৌহার্দ সম্প্রীতির কথা। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কি অভিনব একটি স্বীকৃতি মঞ্চ এটি। তিলোত্তমার পুজো মণ্ডপ গুলো তৈরি হচ্ছে ‘ উমা ‘ র জন্য। আপনারা তৈরি তো?