বাংলাহান্ট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের পক্ষ থেকে বারবার রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia – Eukraine War) বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনেও নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) গলায় শোনা গেল সেই একই সুর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বার্তা দেন জি২০-র মঞ্চে। বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে যুদ্ধবিরতি এবং কূটনীতির পথ খুঁজে বের করতে হবে সবাইকে।
মোদি এদিন বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ও কূটনীতির পথে ফেরার পথ খুঁজতে হবে। গত শতাব্দীতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্বের সর্বনাশ হয়েছিল। এরপর ওই সময়ের নেতারা শান্তির পথে চলার প্রাণপণ চেষ্টা চালান। এবার আমাদের পালা। কোভিড-পরবর্তী সময়ের জন্য একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরির দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।’ মোদী আরও বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী বছর যখন বুদ্ধ ও গান্ধীর পবিত্র ভূমিতে জি২০ সম্মেলন হবে, আমরা সবাই বিশ্বকে শান্তির একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে সম্মত হব।’
ইউক্রেনের সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড মহামারির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং এর জেরে সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয়, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিটি দেশের দরিদ্র নাগরিকদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবন ইতিমধ্যেই তাদের জন্য একটি সংগ্রামে পরিণত হয়েছে। দ্বিগুণ শক্তিশালী এই আঘাতের মোকাবিলা করার আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন আরও বলেন, ‘আমাদের এটাও স্বীকার করতে দ্বিধা করা উচিত নয় যে রাষ্ট্রসংঘের মতো বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এবং আমরা সবাই রাষ্ট্রসংঘে উপযুক্ত সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছি। অতএব, আজ জি২০ সম্মেলন থেকে বিশ্বের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমাদের এই গোষ্ঠীর প্রাসঙ্গিকতা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে সারাবিশ্বে।’