বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত এক মাসেরও অধিক সময় ধরে ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এখনও অব্যাহত রুশ সামরিক অভিযান। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির একাধিক চেষ্টা হলেও রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের কারনে সফল হয়নি তা। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা ক্রমাগত বলে আসছে ভারত। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ইস্যুতে বড় মন্তব্য করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
সোমবার তিনি জানান যে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য মধ্যস্ততা করতে ভারত, তুরস্ক, চিন এবং ইসরায়েল সহ আরও বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করছেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেন ইস্যুতে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য মধ্যস্ততার উপায় খুঁজে বের করতে উভয় পক্ষের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলছে। সেই সমস্ত দেশগুলির সঙ্গে আমি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি ‘
গুতেরেস আরও বলেন, ‘আমি তুরস্কের বন্ধুদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করেছি। একই ভাবে ভারতের পাশাপাশি কাতার, ইসরায়েল, চিন, জার্মানি, এবং ফ্রান্সের সঙ্গেও আমি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি। আমি বিশ্বাস করি যে এই সমস্ত প্রচেষ্টা এই যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয়।’ এই সমস্ত দেশ গুলিও কি সমর্থন করছে তাঁর প্রচেষ্টায়? এর উত্তরে রাষ্ট্রসংঘ প্রধান জানিয়েছেন তেমনটাই অন্তত আশা রাখেন তিনি।
এরই মধ্যে পূর্ব ইউক্রেন সম্পর্কিত একটি চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন যে ইউক্রেন নিরপেক্ষতা ঘোষণা করতে এবং দেশের বিদ্রোহী পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি মীমাংসায় আসতে প্রস্তুত। মঙ্গলবারই যুদ্ধ বিরতি প্রসঙ্গে পরবর্তী আলোচনায় বসবে দুই দেশ। তার আগেই এই ঘোষণা করেন জেলেনস্কি।
উল্লেখ্য, এর মধ্যেই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছে যে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ৬টি নৌবিমান মোতায়েন করেছে তারা। এছাড়াও পূর্ব ইউরোপে প্রায় ২৪০টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করছে আমেরিকা। এহেন ঘোরতর পরিস্থিতির মধ্যে নরেন্দ্র মোদী সহ অন্যান্য দেশের প্রেসিডেন্টদের মধ্যস্থতায় কতখানি কাজ হবে যুদ্ধবিরতিতে, এখন সেটাই দেখার।