বাংলা হান্ট ডেস্ক: একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের মহোবা জেলা। স্ত্রীর মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে কার্যত চিতায় ঝাঁপ দিলেন স্বামী। জানা গিয়েছে যে, গত সপ্তাহে জৈতপুর শহরের মহল্লা বাইপাসে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এদিকে, স্ত্রীর অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি স্বামী। তাই, শেষকৃত্যের সময়ে মৃতার স্বামী ব্রিজেশ জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিয়ে দেন। এদিকে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় ব্রিজেশ সামান্য দগ্ধও হয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যায় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ব্রিজেশ। এদিকে, স্ত্রীর মৃত্যু শোকে হতভাগ্য স্বামীর এই কাজ চোখের কোণে জল এনেছে সবার।
যদিও, সমগ্র ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃতার বাড়ির লোকজন। এমনকি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ঐ মহিলার মা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আজনার থানার আকাউনা গ্রামের বাসিন্দা রামরতন তাঁর মেয়ে উমাকে (২৩) ২০১৬ সালে জৈতপুর শহরের বাসিন্দা ব্রিজেশ কুশওয়াহার সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু, অভিযোগ উঠেছে যে, যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে প্রায়ই মারধর করত। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মেঝেতে উমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন তাঁর গলায় দোপাট্টা বাঁধা থাকায় ঘটনাটি সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে উমার মা তেজ কুনওয়ার জানান, এক সপ্তাহ আগেই টাকার দাবিতে তাঁর মেয়েকে অত্যাচার করা হয়। এমনকি, জামাইকে বাড়িতে ডেকে পরিবারের সব সদস্যদের কাছ থেকে টাকা জমা করে মোট ৭০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যদিও, এই প্রসঙ্গে উমার স্বামী জানিয়েছেন, যৌতুকের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নায়েব তহসিলদার কুলপাহাড় পঙ্কজ গৌতম পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তাঁর উপস্থিতিতেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে যে, মৃতার তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তার নাম কামেশ। মায়ের মৃত্যুর পর নিষ্পাপ শিশুটি এক্কেবারে মুষড়ে পড়েছে। অপরদিকে কোতোয়ালি ইনচার্জ উমেশ কুমার জানিয়েছেন যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফাঁসিকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এখনও তাঁদের কাছে এই প্রসঙ্গে কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।