দেশের ব্যাঙ্কে দাবিহীন পড়ে ৪২ হাজার ৭০০ কোটি! আপনার টাকা আছে? জানুন কী বলছে RBI

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের একাধিক ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে কোটি কোটি টাকার আমানত, কিন্তু সেই সব আমানতের নেই কোনও দাবিদার। দেশে ক্রমাগত দাবিহীন অর্থ ভান্ডার বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এমনটাই বলা হল সংসদে। কেন্দ্রীয় সরকার জানাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে গত অর্থবর্ষের তুলনায় দাবিহীন সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ।

৪২ হাজার ২৭০ কোটি টাকার দাবিহীন সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে দেশের ব্যাঙ্কে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সংসদের অধিবেশনে গত ১৯শে ডিসেম্বর জানানো হয়, গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের ব্যাংকেই বেড়েছে দাবিহীন সম্পদের পরিমাণ।

আরোও পড়ুন : দীর্ঘ কেরিয়ারে এই প্রথম, ভরা মঞ্চে কেঁদে ভাসালেন ‘শ্রেয়া’! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

২০২২ সালে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত দাবিহীন সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে এই সম্পদ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪২ হাজার ২৭২ কোটি টাকা, অর্থাৎ মাত্র এক বছরে দাবিহীন সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ শতাংশ। তথ্য দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন সরকারি ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৩৬ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা।

আরোও পড়ুন : ভারতের পরে এই দেশেই রয়েছে সর্বাধিক হিন্দু মন্দির! নামটি জানলে হয়ে যাবেন “হাঁ”

৬ হাজার ৮৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও অ্যাকাউন্টে এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে টাকা জমা পড়ে থাকে এবং সেই টাকার কোনও দাবিদার না থাকে, তাহলে সেই টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ফান্ডে।

The bank extended the deadline for high interest FD

অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভগবত কে করাদ জানিয়েছেন, যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দাবিহীন আমানতের ব্যাপারটি দেখা হচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআই নির্দেশ দিয়েছে যে অ্যাকাউন্টগুলি দাবিহীন হয়ে বহু বছর ধরে নিষ্ক্রিয় পড়ে রয়েছে, সেগুলির তালিকা প্রকাশ করতে হবে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত উত্তরসূরীর হাতে আইনতভাবে সেই আমানত তুলে দেওয়ার।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর