কাপড় কাচা, ঘর মোছাসহ পরিচারিকার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত ছাত্রীরা! করুণ চিত্র মালদায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশে গ্রুপ ডি পরীক্ষায় আবেদন করেন পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা। তা দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় দেশের রাজনীতিতে। কেউ কেউ সরকারের নীতিকে দায়ী করেন। এই চিত্র দেখে স্পষ্ট হয়ে যায় দেশের কাজের বাজারের শোচনীয় অবস্থা।

এবার কর্মী নিয়োগ কেন্দ্রে পরিচারিকা প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির হলেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার এমনই ছবি ধরা পরল মালদহের যুব আবাসে। উচ্চশিক্ষিত সেইসব ছাত্রীদের একটাই কথা, কাজের আশায় তারা এখানে এসেছেন।কর্মনিয়োগ কেন্দ্রের মালদহ জেলা আধিকারিক সৌমিত রায় জানিয়েছেন, অনেক ছাত্রী এর মধ্যে নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করলেও তা কেন্দ্রে নথিভুক্ত করেননি। তাই তারাও ডাক পেয়েছেন।

মালদহে কর্মনিয়োগ কেন্দ্রের (এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ) উদ্যোগে পরিচারিকা প্রশিক্ষণ শিবির শেষ হয় বৃহস্পতিবার। তিন দিনের এই শিবিরে যোগ দেন ৪০ জন ছাত্রী। কেন্দ্রে নথিভুক্ত ছাত্রীদেরই সুযোগ দেওয়া হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পাস। হেলথ কেয়ার, শিশু ও বয়স্কদের দেখভাল, প্রাথমিক চিকিৎসা, আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে কাপড় কাচা, ঘর সাফাই শেখানো হয় এই শিবিরের মাধ্যমে। প্রশিক্ষণ শিবির শেষে প্রত্যেক ছাত্রীকে শংসাপত্র, ৭৫০ টাকা ভাতা, ছাতা ও ব্যাগের মতো উপহার দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবারের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদান করারছাত্রীদের অধিকাংশই স্নাতক। শিক্ষাবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী কালিয়াচকের কুনজেলা খাতুন জানিয়েছেন, “সরকারি চাকরির কোন আশা নেই। তাই ট্রেনিং করে রাখছি। যদি ভবিষ্যতে কাজে আসে”। ইংরেজবাজারের আড়াপুরের ঝর্না ঘোষ বলেন, “স্নাতক হয়ে বসে আছি। কর্মসংস্থানের আশায় প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি।”

jpg 20220701 125750 0000

কটাক্ষের সুর ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি জানিয়েছেন, “তৃণমূল আমলে চাকরি নেই। তাই বেকার শিক্ষিত যুবতীদের পরিচারিকার প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে।” অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কটা সরকারি চাকরি দিয়েছে, সাংসদ আগে তা জানান।’’


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর