বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিন দিন ভয়াবহ থেকে ক্রমশ অতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস (corona virus)। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। অপরদিকে ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর-কাশি প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ফলে এই সংক্রমণকে অনেকে করোনার সঙ্গে গুলিয়ে বাঁধাচ্ছেন বিপত্তি।
তাই করোনা সংক্রমণ আর সাধারণ জ্বর এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য করবেন কী করে? – এক বিশেষজ্ঞের মতে, করোনা আক্রান্ত হলে প্রথম ১০ দিনে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর থাকবে। কারণ এই ভাইরাসের প্রকোপ মানব দেহে ১০ দিন জারি থাকে। আর সঙ্গে শুকনো কাশি।
ওই চিকিৎসক আরও বলেছেন, যেটা ভাইরাল জ্বর বা সাধারণ জ্বর (ফ্লু), অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের জেরে হয়ে থাকে, সেটায় জ্বরের সঙ্গে সর্দি, নাক বন্ধ, গলা খুশখুশ হয়। কিন্তু করোনাতে নাক বন্ধ কিংবা সর্দির লক্ষ্মণ দেখা যায় ন। এই ভাইরাস সোজা শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তাই শুকনো কাশির সঙ্গে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর শরীরকে দুর্বল করে তোলে।
এই সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য যে জ্বর আসে তাদের সাধারণভাবে সবার আগে সর্দি হতে যায়। নাক দিয়ে জল পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়। করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে খুব কমই নাক দিয়ে জল পড়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তাই সর্দি থাকলে সাধারণ জ্বর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে আবারও বলে রাখি যে কোন জ্বরে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। গলা ব্যথা মানেই করোনা নয়। ঠান্ডা জল খাওয়া থেকেও গলা ব্যথা হতে পারে। তাই শুধুমাত্র গলায় ব্যথা থাকলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
এই সময়ে ওয়েদার চেঞ্জ এর জন্য জ্বর হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি সমস্যা। তাই জ্বর হলে অযথা উদ্বেগ না বাড়ানোই ভালো। সাধারণ সর্দি, জ্বর হলে করোনা ভাইরাস এর পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। যদি জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আর যদি অন্যান্য ধরনের জ্বর এর থেকে বেশি সময় ধরে এই জ্বর শরীরে থাকে তাহলে অবশ্যই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের থেকে ছড়ানো সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। তবে যদি সেই ব্যক্তি যদি না জানেন যে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তাহলে অনেক বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই জন্য যেখানে বহু মানুষের সমাগম সেখানে যেতে বারণ করা হচ্ছে।