বাংলাহান্ট ডেস্ক : পৃথিবীর প্রতিটি কোণে বসতি স্থাপনকারী মনুষ্য জাতি এখন নয়া পরিকল্পনা সমুদ্রের নিচে একটি শহর গড়া। এতদিন আমরা শুধুমাত্র সিনেমা এবং শিশুদের কার্টুনে জলের নিচের শহরগুলোর ঝলক দেখেছি, কিন্তু শীঘ্রই তা বাস্তবের রূপও নেবে। একটি জাপানি বহুজাতিক নির্মাণ ও স্থাপত্য কোম্পানি একই ধরনের ধারণা তুলে ধরেছে। যেখানে সম্পূর্ণ জলের নিচে থাকা শহরটিতে থাকবে হাজার হাজার মানুষের ঘর, মল, হোটেল, মার্কেটসহ ঘোরাঘুরির সব সুযোগ সুবিধা।
এই আন্ডারওয়াটার সিটি ওশান স্পাইরাল প্রস্থে চারটি ফুটবল মাঠের সমান হবে এবং সমুদ্রের পৃষ্ঠের দুই মাইল নীচে অবস্থিত হবে। এখানকার বাড়িঘর, ব্যবসার জায়গা, হোটেল, মল, বাজার, মানুষের বসবাসের জন্য যাতায়াতের মাধ্যম সবই হবে ডাঙার মতো কিন্তু বহু অংশেই বিলাসবহুল।
জাপানের বহুজাতিক স্থাপত্য কোম্পানি শিমিজু কর্পোরেশন বিশ্বের প্রথম জলের নীচে শহর স্থাপনের একটি পরিকল্পনায় রয়েছে৷
শহরের বাইরের আবরণকে সব বিপদ থেকে মুক্ত করার পাশাপাশি অভ্যন্তরে বসবাসকারী বা চলাচলকারী লোকেরা সহজেই সমুদ্রের ভেতরের জীবন দেখতে পারবে। সংস্থাটি এই প্রকল্পের ব্লু প্রিন্ট এবং পরিকল্পনার ছবিও প্রকাশ করেছে। এটি দেখে আপনি ধারণা পেতে পারেন যে জলের ভিতরে বসবাসকারী মানুষের জীবন কেমন হবে। সমুদ্রের অভ্যন্তরে তিনটি জোনে তৈরি করা হবে এই আন্ডারওয়াটার সিটির ভেতরের কাঠামো।
নির্মাণকারী সংস্থাটির কর্মকর্তারা ছাড়াও টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা, জাপান সরকারের মন্ত্রণালয় এবং জ্বালানি কোম্পানিগুলোও এই প্রকল্পে জড়িত। প্রকল্পটির জন্য ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করা হয়েছে ১৬ বিলিয়ন পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় দেখলে এই পরিমাণ প্রায় ১৫৩৪ বিলিয়ন টাকা। এই পুরো আন্ডারওয়াটার সিটির বাইরের গ্লোব কভার হবে স্বচ্ছ ফাইবারগ্লাসের এবং শক্তিশালী আর্ক্লিক প্রযুক্তিতে তৈরি হবে। যা শুধু মজবুতই হবে না, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি যেকোনো ধরনের বিপদ থেকেও নিরাপদ রাখবে।
জলের নিচে ৫০০০ জন মানুষের জলের নিচে বসবাসের ব্যবস্থা করা সহজ কাজ হবে না। তাই এই শহর তৈরিতে উচ্চ কারিগরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এই জন্য কারিগরি দল ছাড়াও মেরিটাইম এক্সপার্টদের রিপোর্ট নিয়ে কাজ চলবে বলেও জানা গিয়েছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই আন্ডারওয়াটার সিটি প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।